জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়া
আদালতে খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বিশেষ আদালতে গিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ সকাল ৯ টা ৫৬ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসা থেকে বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসায় অবস্থিত বিশেষ আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।এর আগে গত ৫ মে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এরপর আদালত ২৫ মে সাক্ষ্য-জেরার জন্য দিন ধার্য করেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ তারিখ ধার্য করেন। ঢাকার বকশীবাজার এলাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ভবনে বিশেষ এজলাসে এ মামলার বিচারকাজ চলছে। ৫ মে দুটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর পক্ষে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবীরা। আবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবীরা বার কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যস্ত আছেন। এ ছাড়া মামলা দুটি বদলি চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনজীবীরা সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত তা নাকচ করে দিয়ে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশ দেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ সাক্ষ্য দেন। আদালত তাঁর আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করে ২৫ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলার আসামি সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমদের পক্ষে বাদী হারুন-অর-রশিদকে জেরা করা হয়। আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে জেরার জন্য ২৫ মে দিন ধার্য করেন। এ মামলার অপর দুই আসামি সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান পলাতক আছেন। এর আগে ২৫ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি। চলতি বছরের ১৯ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । এই মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বি আইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।