জিয়ার বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হলো: ফখরুল
জিয়ার বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত
মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হলো: ফখরুল
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার সামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিএনপি মহাসচিব টেলিফোনে গণমাধ্যমের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাবটি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটাকে আমি ‘সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ মনে করি।
মির্জা ফখরুল বলেন,এ সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছে তাদেরকে আমি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনে করি না। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং পুরোপুরিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হলো।
আমি এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।তিনি বলেন,এই খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নিয়েছে এবং তারা সরকারকে বিষয়টি জানাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণের গণতন্ত্রের প্রতি, এই সরকারের অপকর্ম এবং যে সমস্ত দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসছে বিভিন্নভাবে সেগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্যই এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আমি মনে করি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের স্মরণীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই বসে ছিলেন না। দীর্ঘ ৯ মাস সেক্টার কমান্ডার হিসেবে দেশের ভেতরে থেকে লড়াই করেছেন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শুধু নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ জানে যে, তাঁর ঘোষণার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষদের শুধু নয়, বাইরের বহু লেখকের বহু লেখায় যার প্রমাণ রয়েছে। এই যে বীরোত্তম খেতাবটি তিনি পেয়েছিলেন সেটি কিন্তু স্বাধীনতার পরের যে সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের যে সরকার, সেই সরকারই তাঁকে দিয়েছিলো।