জিয়াউর রহমানই আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার :অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ
জিয়াউর রহমানই আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার :অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার আখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, দেশের সর্ব ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের সাফল্য সুস্পষ্ট।
তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। যিনি দেশের করুন পরিস্থিতিতে ক্ষমতা গ্রহণ করে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী করেছিলেন।
আজ বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের ৩৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করে জিয়া কল্যাণ পরিষদ। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাহিজা খানম ঝুনুর সভাপতিত্বে সভায় অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা ছাড়াও বিভিন্ন নেতকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের পর বাংলাদেশকে বোটমলেস বাস্কেট বা তলাবিহীন ঝুড়ি আখ্যা দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু ৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার ২ বছরের মাথায় সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ক্ষমতা নেয়ার আড়াইবছরের মধ্যে তিনি প্রাথমিকভাবে নেপালে এক লক্ষ টন চাল রফতানি করেছিলেন।
ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ১৯৭৬ সালের শুরু দিকেই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ বিপুল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করেন। তিনিই প্রথম অর্ধ এবং অল্পশিক্ষিত লোকজনকে দেশের বাইরে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আসতে থাকে। কিন্তু আজ দেশের মানুষের কী অবস্থা?
মানবপাচারের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ বলেন, আমাদের অবহেলায় দেশের বহু মানুষ তরুণ সাগরে মারা গেলো। এসবের প্রকৃত হিসাব নেই। কিন্তু আমাদের দেশের তো যুদ্ধ জাহাজ আছে, নৌকা আছে। এসব দিয়ে তো ভাসমান লোকজনকে উদ্ধার করা যেতো। কারো কোনো দয়া নেই। দয়া মায়াহীন বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ।
জিয়াউর রহমানের সাফল্যের কথা তুলে ধরে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ আরো বলেন, ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য করে বাংলাদেশের বিজয় এনেছিলেন। সেসময় মধ্যপ্রাচ্যের এবং ওআইসি ভুক্ত ৫৭ টি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে ভোট দিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করেছিল।
অথচ বর্তমান সরকার সামান্য কিছুর বিনিময়ে আমাদের সেই গৌরব ম্লান করে দিয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাপানে গিয়ে সেদেশের সরকারকে বলেছে আমরা কিছু পেলে আপনাদেরকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদে সমর্থন দেবো!
বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ বলেন, শহীদ জিয়াকে রাজনৈতিক নেতা নয় একজন দেশপ্রেমিক এবং সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখলে মনে হবে তিনিই আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনি শুধু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা বা নেতা নন তিনি জাতির রূপকার এবং জাতির নেতা।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই ছিল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। অথচ যুদ্ধের আড়াইবছর পরে গণতন্ত্রকে অপমানিত এবং নির্বাসিত করা হয়েছে। গণতন্ত্র যেন পুনর্জন্ম নিতে না পারে সেজন্য একে একে সব মূল কেটে দেয়া হয়েছে।
বিচারবিভাগ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থেকে সব ধরনের মৌলিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। বর্তমানেও সেই পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।