জিএসপি সুবিধা না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক : রিপন

11/08/2015 7:52 pmViews: 6
জিএসপি সুবিধা না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক : রিপন

বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক ও উদ্বেগের ব্যাপার। বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা কেন পেল না, এর কারণ সরকারকে ব্যাখ্যা করতে হবে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার বিকালে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের কাছে তার ব্যাখ্যা দাবি করে তিনি বলেন, দেশের অন্যতম প্রধান রফতানিখাত তৈরি পোশাকশিল্পের প্রবৃদ্ধি এতে বাধাগ্রস্ত হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। ভারত-পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নাম থাকলেও-জিএসপি সুবিধাপ্রাপ্ত দেশসমূহের তালিকায় বাংলাদেশ নেই। এটা দুঃখজনক।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বাক্ষরিত আদেশে বিশ্বের ১২২টি দেশ এই সুবিধা পেলেও বাংলাদেশ কেন বঞ্চিত থাকল- তার ব্যাখ্যা সরকারকে অবশ্যই দিতে হবে।

জিএসপির ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু কেন সেটি বাস্তবায়ন করা হল না? রিপন বলেন, পত্রিকান্তরে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, জিএসপি সুবিধা না পাওয়ার মূলে তিক্ত সম্পর্ক কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬ দফা বাস্তবায়নে যতটা অগ্রগতি হয়েছে, দু-দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের তিক্ততা ততটা কাটেনি।

তিনি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অনেক বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব বেড়েছে বলে ধারণা করা হয়। আমরা মনে করি, সরকারের উচিৎ হবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নের বাস্তব উদ্যোগ নেওয়া এবং যে সব কারণে এই তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে-তার অবসান ঘটানো।

তিনি গ্রামীণ ব্যাংককে তার উদ্যোক্তা-পরিচালকদের মাধ্যমেই পরিচালনা করার সুযোগ দিতে এই প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীন বিকাশে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে আহ্বান জানান।

রিপন বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকটি বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনের বেলায় যে রোল মডেল হিসেবে সমাদৃত, সে কারণে এই ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে হিলারি ক্লিনটন, কংগ্রেস-সিনেট সদস্য, ইউরোপের অনেক নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সরকার সে পথে না গিয়ে উল্টো গ্রামীণ ব্যাংককে তার ভূমিকাকে অস্বীকার করে অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকটির মতোই এটি পরিচালনে সচেষ্ট হয়েছে; যার পরিণামে গ্রামীণ ব্যাংকে এতো ভয়াবহ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।বাংলাদেশের বিদেশী বন্ধুদের সঙ্গে তিক্ততা বেড়েছে।

খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, ওখানকার ডাক্তারের এপয়েনমেন্টের ওপর নির্ভর করছে ম্যাডাম কখন যাচ্ছেন। তা ছাড়া আমরা আগেই বলেছি এটি চেয়ারপারসনের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এএস এম আব্দুল হালিম, সিলেট বিভাগের বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহদফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply