জিএম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে বাদ দিলেন এরশাদ
জিএম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে বাদ দিলেন এরশাদ

নিজের ছোট ভাই জিএম কাদেরকে দলের কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দিলেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার পর ‘সাংগঠনিক নির্দেশ’ শিরোনামে দেওয়া এরশাদ নিজের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই ঘোষণা দেন।
চিঠিতে এরশাদ উল্লেখ করেন, তবে জিএম কাদের দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকবেন। আর সংসদে বিরোধী দলের উপ-নেতা থাকতে পারবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবে দলের পার্লামেন্টারি পার্টি।
গতকালের চিঠিতে এরশাদ লেখেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এই মর্মে আমার পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং সংশ্লিষ্ট সব মহলের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, আমি ইতোপূর্বে ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, আমার অবর্তমানে পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের পার্টি পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন এবং আমি এটাও আশা প্রকাশ করেছিলাম যে, পার্টির পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিল তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। কিন্তু পার্টির বর্তমান সার্বিক অবস্থার বিবেচনায় আমার ইতোপূর্বেকার সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে নিলাম।
নির্দেশে আরও বলা হয়, যেহেতু কাদের পার্টি পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন, পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে এবং তিনি পার্টির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। পার্টির সিনিয়র নেতারাও তার নেতৃত্বে সংগঠন করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
এমতাবস্থায় সংগঠনের স্বার্থে পার্টির সাংগঠনিক দায়িত্ব এবং কো-চেয়ারম্যানের পদ থেকে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। তবে তিনি পার্টির প্রেসিডিয়াম পদে বহাল থাকবেন। তিনি সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার পদে থাকতে পারবেন কি-না তা জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি পার্টি নির্ধারণ করবে। পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে- যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে জিএম কাদের গতকাল রাতে ইত্তেফাককে বলেন, ‘আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না। বৃহস্পতিবার রাতেও তার (এরশাদ) সাথে আমার অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। উনি আমাকে বললেন, আমি তো মরে যাচ্ছি। দলটা তোমার হাতে দিয়ে গেলাম। তুমি এই কদিনে খুব ভালো করেছ। খুব ভাল দল চালিয়েছ। তোমার হাতেই দলটা নিরাপদ থাকবে। তোমার জন্য আমার দোয়া থাকলো।-এই কথার পর হঠাত্ এই সিদ্ধান্ত কেন তা কিছু বুঝতে পারছি না।
জিএম কাদের বলেন, এত রাতে এই চিঠি এরশাদের কি না আমার সন্দেহ হচ্ছে। কেউ এরশাদের স্বাক্ষর জাল করে এটা করতে পারেন। তবে এরশাদের প্রেস সচিব সুনীল শুভ রায় এই চিঠির সত্যতা ইত্তেফাককে নিশ্চিত করেছেন।