জায়গা হয়নি যাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর জায়গা হয়নি নতুন মন্ত্রিসভায়। আলোচিত-সমালোচিত এসব মন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রাথমিক ও গণশিামন্ত্রী আফসারুল আমীন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, মত্স্যমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ, একসময়ের রেলমন্ত্রী ও পরে দপ্তরবিহীনমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, নির্বাচনকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। সর্বশেষ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার অবশ্য এবারের নির্বাচনে অংশ নেননি।
এ ছাড়াও গত সরকারের যেসব প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়লেন তাঁরা হলেন—স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহাজাহান মিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, বিদ্যুত্ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, মত্স্য প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাই, প্রাথমিক ও গণশিা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান।
এঁদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আবার দলেও বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, আগের সরকারে থাকা বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অতিকথন এবং প্রচুর সম্পদ অর্জনসহ নানা বিতর্ক ওঠায় তাঁদের মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি।
এদিকে নতুন মন্ত্রিসভার শপথের আগে আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের পর সবারই দৃষ্টি ছিল মন্ত্রিসভা কেমন হবে। আমার মনে হয়, মোটামুটি কিন মন্ত্রিসভা হয়েছে। টেম্পটেডরা (বিতর্কিত) নেই বললেই চলে।’