জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ আইন অনুমোদন
২৭ জুলাই, ২০১৫
সর্বনিম্ন ১০ লাখ ও সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জরিমানা এবং এক বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক এ আইনের খসড়া ও নীতিমালার অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান, ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত একটি আইন থাকলেও তা পরিবর্তন করে শিল্প মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ আইন, ২০১৫’-এর খসড়া মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসে। তবে এ সেক্টরে নিয়োজিত শ্রমিক মালিক, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, বর্জব্যবস্থাপনাসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে এ আইনে। ২০১১ সালের মার্চ মাসে একে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পরেই এ জন্য একটি স্বতন্ত্র আইন করার কথা চিন্তাভাবনা করে সরকার।
সচিব জানান, এই আইনে ৭টি অধ্যায় ও ২৯ টি ধারা রয়েছে। এ আইনের ফলে সরকার দেশে এক বা একাধিক জাহাজ প্রক্রিয়াকরণ জোন করবে। এখানেই সকল শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড বা শিপ ইয়ার্ড তৈরি করার কাধ্য বাধকতা থাকছে আইনে। অন্য কোথাও করা হলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে রিসাইক্লিংয়ের জন্য কোনো জাহাজ আনা, ব্রেকিং ইয়ার্ড তৈরি করাসহ এ সংক্রান্ত সব কিছু মনিটরিংয়ের জন্য সরকার শিল্পমন্ত্রণালয়ে একজন অতিরিক্ত সচিবকে চেয়ারম্যান করে একটি রিসাইক্লিং বোর্ড গঠন করা হবে। এই বোর্ড সব কিছু মনিটরিং ও অমুমোদন দেবে। এ বোর্ডে আন্যদের মধ্যে থাকবেন- মালিক এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, এক্সপার্ট, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন।
এ আইন অমান্যের শাস্তির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনো জাহাজ আমদানি বা ব্রেকিং করলে সর্বনি¤œ ১০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা জাড়িমানা এবং এক বছরের কারদন্ড দেয়া হবে।
মোশাররফ হোসেন ভুইঞা আরো জানান, বৈঠকে দেশে বিদ্যমান পেট্রোলিয়াম আইনটিও সংশোধন করে নতুন ‘পেট্রোলিয়াম আইন, ২০১৫’এর খসড়া ভেটিং সাপেক্ষে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রেটোলিয়াম আগে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। এ নতুন আইনের ফলে তা তিন ভাগে বিভক্ত করা হচ্ছে- হিটিং ভ্যালূ অনুযায়ী (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়)। এই আইনের মাধ্যমে হবে বিধিমালা যার মাধ্যমেই পেট্রোলিয়াম আমদানি পরিবহন, মজুদ পরীক্ষা সহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
নতুন আইনে ২৪/এ ধারায় বলা হয়েছে, আমদানির ক্ষেত্রে আগে ৩ মাসের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জড়িমানর বিধানটি সংশোধন করে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। অপরাধ দ্বিতীয় বার করলে জেল জড়িমানা দ্বিগুণ হবে।