জামায়াত নিষিদ্ধে আদালতের দিকে তাকিয়ে সরকার
২৬ জুলাই, ২০১৫
তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে রয়েছে সরকার। তবে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করার কথা এখনই ভাবা হচ্ছে না। কেননা জামায়াতকে নিয়ে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। সে জন্য আদালতের দিকেই তাকিয়ে আছে সরকার।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের টিসিবি ভবন মিলনায়তনে শনিবার সন্ধ্যায় বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ১২২তম পর্বে অংশ নিয়ে প্রশ্নোত্তরে তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু এ কথা বলেন।
জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকারের একটা নীতিগত অবস্থান আছে। তাহলে কেন তাদের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না?- সংলাপের উপস্থাপক আকবর হোসেনের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাহী আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি সরকার পরীক্ষা করে দেখেছে। তবে যেহেতু একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে, তাই সরকার সেই দিকেই তাকিয়ে আছে। তবে তিনি বলেন, যদি প্রয়োজন হয়, তবে নির্বাহী আদেশের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বিএনপি ভাঙার ব্যাপারে সরকারের প্রচেষ্টা ও এর পরিণাম সম্পর্কে জানতে চাইলে সংলাপের প্যানেল অতিথি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা নতুন কিছু নয়। অতীতেও সরকারগুলো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাঙার চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কোনো প্রচেষ্টা সরকারের দিক থেকে হচ্ছে কিনা তা জানা নেই। তবে জামায়াতের লোকেরা দলে দলে সরকারি দলে যোগ দিচ্ছে। এটা ভাঙা হলে এরপর বিএনপি ভাঙা শুরু হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, এ ধরনের প্রচেষ্টার কোনো তথ্য তার কাছে নেই। তবে তা হলে নেতিবাচক হবে। কেননা অন্য দল ভেঙে নেতাদের দলে আনলে ওই দলের আদর্শ প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। সাবেক কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবির বলেন, দল ভাঙা যায় না। কেননা শূন্যতা পূরণ হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিএনপি ভাঙার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না। বরং বিএনপি নেতাদের কথাবার্তায় এমন কথা উঠে আসছে। তিনি বলেন, বিএনপি ভাঙার প্রয়োজন সরকারের নেই। কেননা জামায়াত ও জঙ্গিদের সঙ্গে মিশে গিয়ে, তারেক রহমানের কারণে ভুল রাজনীতি করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই রাজনীতিতে খরচের খাতায় চলে গেছেন।