জামায়াত আগামী নির্বাচনে মরণ কামড় দিতে পারে
ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র সফররত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত হওয়ার পর জামায়াতের সর্বাত্মক সন্ত্রাস প্রতিরোধ আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জামায়াত আগামী নির্বাচনে মরণ কামড় দিতে পারে। এজন্য প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মোকাবিলায় জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার অগ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ কর্মকা্ল সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কলামিস্ট মহিউদ্দিন আহমেদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের মূলমন্ত্র হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা ও নারীর উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, ধর্ম ও রাজনীতি কখনো এক নয়। কিন্তু আমাদের দেশে ধর্মকে রাজনৈতিক ব্যবসা বানিয়ে ক্ষমতা দখলের পায়তারা চলে। এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ হতে হবে।’
হেফাজত ইসলাম সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হেফাজতের অযোক্তিক সমাবেশ করতে দেয়াই ভুল হয়েছে যার ফলে তারা ধর্মান্ধ মানুষদের আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে।’ পদ্মা সেতু সম্পর্কে তিনি বলেন, এতে কোন দুর্নীতি হওয়ার সুযোগ ছিল না। গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ড. ইউনূছ নিজের পকেট ভারী করেছেন, অথচ দরিদ্র জনগোষ্ঠী এতে কোনো লাভবান হয়নি। এমনকি গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা আইনে ডিভিডেন্ট দেয়ার উল্লেখ থাকলেও তিনি কখনও তা দেননি। এমন অনেক অনিয়ম ধরার কারণে ড. ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি করেছেন।
আগামী নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নির্বাচিত দলীয় তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে। সেখানে সংসদীয় আসনের আনুপাতিক হারে সব দলের প্রতিনিধি থাকবে।’
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গণমাধ্যম শুধু সরকারের নেতিবাচক বিষয় দেখতে পায়। কিন্তু ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বা নিউইয়র্ক টাইমসের মত গণমাধ্যম বাংলাদেশের ইতিবাচক সংবাদ তুলে ধরলে তা প্রচার করে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং সাবেক কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদ সমাগত সুধী এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।