জয়ে ফিরল চেলসি
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে অস্কারের গোলে যখন চেলসি এগিয়ে গেল, ওই মুহূর্তে কোচ হোসে মরিনহো ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। ফুলহ্যামের বিপক্ষে শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে মাঠে নামার আগে চার ম্যাচে যে কোনো জয় ছিল না স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটির। মালিক-সমর্থক সবদিক দিয়েই কোচ মরিনহো ছিলেন প্রচণ্ড চাপের মুখে। ৮৪ মিনিটে জন ওবি মিকেলের গোলে বিজয় নিশ্চিত করে চেলসি ফুটবলাররা নিশ্চয়ই হাত-পা ঝাড়া।
ফুলহ্যাম হেরে গেলেও কাল চেলসির জয়টা খুব সহজ ছিল না; বরং প্রথমার্ধের পুরোটাই ছিল পশ্চিম লন্ডন প্রতিদ্বন্দ্বীদের দখলে। প্রথমার্ধেই ড্যারেন বেন্টের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারত ফুলহ্যাম। কিন্তু খুব অপ্রত্যাশিত এক সুযোগ পেয়েই বোধ হয় বেন্ট বল তুলে দেন সোজা গোলরক্ষক পিতওর চেকের হাতে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে অস্কারের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। বাম প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে চেলসির শ্রুলে পোস্টে শট নিলে তা হাত থেকে ছুটে যায় গোলরক্ষক স্টকডেলের। এ সময় বক্সের ভেতর সংঘটিত জটলার মধ্যে ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় বলটি পেয়ে যান অস্কার। ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ফুলহ্যামের জালে বল ঠেলে দিতে কোনো ভুল করেননি।
গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার দুই মিনিটের মাথায়ই সমতায় ফিরতে পারত ফুলহ্যাম। কিন্তু সিডওয়েলের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশায় পুড়তে হয় তাদের। অপরপ্রান্তে চেলসির হ্যাজার্ডও অবশ্য একটি ভালো সুযোগ নষ্ট করেন।
খেলার ৮৪ মিনিটে ফার্নান্দো তোরেসের একটি দুর্দান্ত শট ফুলহ্যাম গোলরক্ষক স্টকডেল ফিস্ট করে ফেরালে কর্নার পায় চেলসি। ওই কর্নার থেকেই জন টেরির হেডের সহায়তায় খুব কাছ থেকে জালে পাঠান ওবি মিকেল।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এফসি বাসেলের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হারের পর কাল একাদশ তৈরিতে দারুণ খড়্গহস্ত ছিলেন কোচ মরিনহো। বাসেলের বিপক্ষে একাদশ থেকে চারজনকে ছেঁটে ফেলে কাল দল সাজিয়েছিলেন চেলসির পর্তুগিজ কোচ। হুয়ান মাতা ছিলেন না, ছিলেন না ডেভিড লুইজও। ফ্রাঙ্ক ল্যামপার্ডও ছিলেন ডাগআউটে। মরিনহো কাল মাঠে ফেরান জন টেরিকে। ওবি মিকেল, র্যামিরেস আর আন্দ্রে শ্রুলের সমন্বয়ে ফুলহ্যামের বিপক্ষে দিনটা একেবারে মন্দ কাটেনি চেলসির। সূত্র: রয়টার্স।