জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে: ড. আবদুল মঈন খান

08/01/2024 1:54 pmViews: 3
whatsapp sharing buttonmzamin

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জনের ডাক সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, ভোট বর্জনের আন্দোলন নিশ্চয়ই সফল হয়েছে। কারণ দুই শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে যায়নি। এজন্য ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে বলেও দাবি বিএনপি’র। গতকাল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপি’র নেতারা। দুপুরে গুলশানে নিজের বাসায় ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আপনাদের টেলিভিশন (গণমাধ্যম) ক্যামেরার ছবি কথা বলে। আমি বলছি যে, হাজার হাজার লাখ লাখ ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনারা দেখতে পারছেন। কুকুরের ছবি দেখতে পারছেন ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে-শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে। সেই ভোটকেন্দ্রের নাম হচ্ছে ঢাকা শহরের মেরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র।

এই যে পরিস্থিতি, সিংহভাগ ভোটকেন্দ্র প্রায় ভোটার শূন্য অবস্থায়। বিশ্বের মানুষ দেখছে, দেশের মানুষ দেখছে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করেছে। শুধু বিএনপি নয়, ৬২টি রাজনৈতিক দল প্রহসনের নির্বাচনকে বর্জন করেছে। তাদের সকলের পক্ষ থেকে আমি আজকে বাংলাদেশের মানুষকে স্যালুট জানাবো একটি মাত্র কারণে যে, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো দিন আপস করেনি, এবারো করবে না। ভোট বর্জনের আন্দোলন সফল হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই সফল হয়েছে। এখানে আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, এই আন্দোলন শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ যে লগি-বৈঠার আন্দোলন করে সেই লগি-বৈঠার আন্দোলন আমরা করি না। সরকার এই নির্বাচনের আগে ভেবেছিল তাদের মন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেছিল যে, বিএনপি থেকে একশ’-দেড়শ নামিদামি নেতা নিয়ে যাবে এবং তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাবে। তারা কয়জনকে নিতে পেরেছে? একজনকে নিতে পেরেছে। কী লোভ-লালসা দিয়ে তাকে নিয়েছে সেটা আমি এখানে ব্যাখ্যা করতে চাই না। তাহলে সরকারের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। মঈন খান বলেন, হরতাল সফল হয়েছে। হরতাল না হলেও তো ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি এমন হতো না। কী ভোট হচ্ছে, সেটা সারা বিশ্ব দেখছে, বাংলাদেশের মানুষ দেখছে। আর সোমবার দেখবেন, কোন কেন্দ্রে কতো ভোট পড়েছে। তাহলে বুঝবেন মানুষ ভোটকেন্দ্রে গেল না কেন?তিনি আরও বলেন, হোয়াট ইজ নেক্সট। বাংলাদেশের মানুষ শুধু হোয়াট ইজ নেক্সট জানতে চায় না। বাংলাদেশের মানুষ একটি জিনিস চায়- তারা কথা বলতে চায়, তারা ভোট দিতে চায়, তারা এদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়। এই তিনটি উদ্দেশ্যে আমরা মানুষের পক্ষ হয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা এই তিনটি জিনিস এদেশের মানুষকে ফিরিয়ে এনে দেবো।

বিএনপি’র এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সকলে কেন্দ্রে যায়নি। বিএনপি’র সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা ভোটে নাই। আমরা প্রতিবাদ হিসেবে ভোট বর্জন করেছি। আওয়ামী লীগের কিছু লোক হয়তো ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে কিন্তু ছবি দেখলে বুঝবেন যে, নগণ্য সংখ্যক কর্মী-সমর্থক গেছে। এটা কেন? তারও কারণ আছে। আওয়ামী লীগের ভোটাররা জানে যে, আমার প্রার্থী তো পাস করে বিজয়ী হয়ে গিয়েছেন। আমি খালি খালি খামাখা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমরা টাইম কেন নষ্ট করবো? সেই কারণে আজকে ভোটকেন্দ্রে ভোটার শূন্য অথবা নগণ্য দেখছেন।

ড. মঈন খান বলেন, দেশের মানুষের আকুতি হচ্ছে, জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার ফিরে পেতে চায়। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। আমরা সেই লক্ষ্যে আন্দোলন করছি। এই পর্যন্ত আমাদের কাছে যে খবর তা হচ্ছে বাংলাদেশে প্রায় ৩০/৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র আছে। এর সিংহভাগ কেন্দ্রে ভোটার নাই।
পরে ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন বর্জনের জন্য জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ক্ষমতাসীনদের পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে। দুই শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আসেনি। আমাদের ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে।

Leave a Reply