জনগণের সেবক হতে পুলিশের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

26/01/2016 12:59 pmViews: 8
জনগণের সেবক হতে পুলিশের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ফাইল ফটো
পুলিশ প্যারেডের উদ্বোধন শেষে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জনগণের সেবক হতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া আন্দোলন ও জঙ্গি দমনে পুলিশের সক্রিয়া ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশর অগ্র্রযাত্রায় পুলিশ বাহিনী বিশাল অবদান রাখছে বলেও মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের প্যারেডে অভিবাদন গ্রহণ শেষে রাজারবাগে মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসের পুলিশ অডিটরিয়ামে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নারী পুলিশ কর্মকর্তা এসপি শামসুন নাহার অধিনায়ক হিসেবে নয়নাভিরাম প্যারেডের নেতৃত্ব দেন। সারা দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত ১৩টি কন্টিনজেন্ট প্যারেডে অংশ নেয়। চার দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গত সাত বছরে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৭৩৯টি ক্যাডার পদসহ ৩২ হাজার ৩১টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সত্ত্বেও জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। তাই সরকার আরো ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে ২৭৭টি ক্যাডার পদসহ ১৩ হাজার ৫৫৮টি পদে পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু করেছি, তাতে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কারণ পুলিশ দেশের শান্তিশৃংখলা ঠিক না রাখলে উন্নয়ন সম্ভব হতো না।’
‘বাংলাদেশ পুলিশ দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃংখলার প্রতীক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রদান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের প্রতিটি সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব করতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়।’
পুলিশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাত বছরে আমরা পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৭৩৯টি ক্যাডার পদসহ ৩২ হাজার ৩১টি পদ সৃষ্টি করেছি। এ সত্ত্বেও দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। তাই আমরা আরও ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে ২৭৭টি ক্যাডার পদসহ ১৩ হাজার ৫৫৮টি পদে পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহ পালন করা হয়। সেদিন পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
পুলিশ সপ্তাহে ২০১৫ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃংখলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ১৯ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)’, ২৩ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ ৪০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ এ চার ধরনের পদক প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাদের পদক পরিয়ে দেন।
পুলিশ সপ্তাহের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে— প্রথম দিন- মঙ্গলবার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, দ্বিতীয় দিন- বুধবার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা, তৃতীয় দিন- বৃহস্পতিবার ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, পুরস্কার বিতরণ (আইজি’জ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি), পুলিশ অফিসার্স মেসের বার্ষিক সাধারণ সভা এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সাথে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী। শেষদিন- শুক্রবার আইন-শৃংখলা ও অপরাধ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে পুলিশ সপ্তাহের নানা আয়োজন।

Leave a Reply