জনগণই ঠিক করবে কারা সরকারে
জনগণই ঠিক করবে কারা সরকারে
গণতন্ত্রের ওপর তাঁর অগাধ আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকার কারা গঠন করবে, তা জনগণই ঠিক করবে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে নবনিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি অ্যানিক বউরডিন সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছে; যদিও ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাস মোটেও সুখকর নয়।
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয় ছাড়াও রোহিঙ্গা সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রও আলোচনায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে। তাঁর শাসনামলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনই অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে এবং যার বেশ কিছু নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীর পরাজয়ও ঘটেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ফরাসি সমর্থনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান গভীর ও উষ্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বাংলাদেশে আর্থসামাজিক খাতসহ বিভিন্ন ফরাসি সহযোগিতার কথা স্মরণ করে দায়িত্ব পালনকালে নবনিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি এ সময় গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ওয়ান প্ল্যানেট সামিট চলাকালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গও স্মরণ করেন।
নবনিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশের সন্ত্রাস এবং উগ্র চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গেও একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে তিনি ফরাসি সরকারের আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেন। ফরাসি রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের খাদ্য সাহায্য সরবরাহে এ সময় বাংলাদেশকে ফরাসি সমর্থন অব্যাহত রাখা এবং তাদের কল্যাণে বেসরকারি সংগঠনের কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের কথাও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।