জনকন্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক দোষী সাব্যস্ত
বিচারাধীন বিষয়ে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় দৈনিক জনকন্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে এক সংক্ষিপ্ত আদেশে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আদালত অবমাননার দায়ে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি হিসেবে আদালতের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালতের এজলাসে অবস্থান করার নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে সাতদিনের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদায়কৃত জরিমানার অর্থ কোন চ্যারিটেবল ফান্ডে জমা দিতে আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে জনকণ্ঠের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠ গত ১৬ জুলাই ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা, পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে । এর লেখক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।
নিবন্ধটিতে সাকা চৌধুরীর মামলায় আপিল বিভাগের রায় প্রদানকারী এক বিচারকের সঙ্গে সাকা পরিবারের সাক্ষাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ওই উপসম্পাদকীয়টি আদালতের নজরে এলে ২৯ জুলাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে রুল জারিসহ তলব করেন আদালত। তাদের ৩ আগস্ট হাজির হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। পরে তাদের পক্ষে করা পৃথক আবেদনে ৯ আগস্ট রুল শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।