জনকণ্ঠ সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদককে জবাব দাখিলের নির্দেশ
০৩ আগস্ট, ২০১৫
আদালত অবমাননার বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ এবং নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের ব্যাখ্যা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল। আগামী রোববারের মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও স্বদেশ রায়ের পক্ষে মামলা পরিচালনা করায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সোয়েব খানের সনদ কেন বাতিল করা হবে না তা জানাতে ৪৮ ঘণ্টার মধে সময় দিয়েছেন আদালত।
বিচার বিভাগ নিয়ে ‘কুৎসা রটনামূলক’ নিবন্ধ প্রকাশের ব্যাখ্যা চেয়ে আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুলের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ নির্দেশ দেন আদালত। এরপর রোববার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসয়ম জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মো. সোয়েব খান জবাব দিতে তিন মাসের সময় চান। আদালত তা নামঞ্জুর করে আগামী রোববারের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন।
সোয়েব খান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে কর্মরত। এ বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতের নজরে আনেন। তিনি বলেন, একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এই মামলায় অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হতে পারেন না।
আদালত এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য বলেন। এ সময় সোয়েব খান ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হননি। এরপর আদালত এক আদেশে বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সোয়েব খানের অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের সনদ কেন বাতিল করা হবে না তা জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই জনকণ্ঠের ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা: পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়। নিবন্ধটির লেখক স্বদেশ রায়।
নিবন্ধটি প্রকাশের ব্যাখ্যা চেয়ে জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ এবং নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৯ জুলাই আদালত অবমাননার রুল জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৩ আগস্ট তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।