ছিনতাইকালে ৩ পুলিশ গ্রেফতার
প্রতিবেদক : রাজধানীর কোতোয়ালিতে দুই হুন্ডি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে প্রায় সোয়া ৩০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় ৩ পুলিশকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছে জনতা। পরে জনতা আটক পুলিশদের থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অভিযুক্ত তিন পুলিশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারে দুই হুন্ডি ব্যবসায়ীকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার কথা বলে এ তিন পুলিশ তাদের একটি গাড়িতে তোলে। এরপর ওই হুন্ডি ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা ৩০ লাখ ২৪ হাজার ২শ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে গাড়িতেই দুই ব্যবসায়ীর ধস্তাধস্তি শুরু হয়। টাকা দিতে রাজি না হলে পুলিশ দুই ব্যবসায়ীকে মারধর শুরু করে।
এ সময় ব্যবসায়ীদের চিত্কারে আশপাশের লোকজন গাড়িটি ঘেরাও করে। জনতা এ সময় পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আবুল কাইউম, কনস্টেবল আলমগীর হোসেন, আবুল খায়ের এবং হুন্ডি ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া ও আমানকে আটক করে। পরে জনতা আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গ্রেফতার তিন পুলিশ সদস্য ক্যান্টনমেন্ট থানায় কর্মরত ছিলেন।
থানার অন্য এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বর্তমানকে জানান, গ্রেফতার তিন পুলিশ সদস্য শনিবার সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানা থেকে ডিউটি করতে গাড়ি নিয়ে বের হয়। তারা ডিউটি রেখে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারে যান। সেখানেই তারা এ ঘটনা ঘটান।
ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ জানায়, এস আই কাইয়ুম, কনস্টেবল আলমগীর ও খায়ের ডিউটি করতে সকালে গাড়ি নিয়ে থানা থেকে বের হন। বেলা ১২টার দিকে বংশাল থানা থেকে ফোন করে তিন পুলিশ কিছু সমস্যায় পড়েছেন বলে জানায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি বিভাগের সহকারী কমিশনার জামাল পাশা বর্তমানকে জানান, আটক তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা হচ্ছে। তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।