ছিটমহলবাসী বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভ করায় স্বাগত জানিয়েছেন খালেদা জিয়া

01/08/2015 7:41 pmViews: 16

ছিটমহলবাসী বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভ করায় স্বাগত জানিয়েছেন খালেদা জিয়া

০১ আগস্ট ২০১৫,শনিবার

১৬২টি ছিটমহলবাসী বাংলাদেশি নাগরিকত্ব লাভ করায় স্বাগত জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বিলুপ্ত হওয়া ছিটমহলবাসীদের আনন্দের সাথে বেগম খালেদা জিয়া শামিল হয়েছেন, তিনি আনন্দিত। এই মহেন্দ্রক্ষণে তাদের তিনি স্বাগত জানিয়েছেন।

আজ শনিবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ১৯৭৪ সালে এসব ছিটমহল নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ ভারতের সাথে যে চুক্তি করেছিল-ভারত বহু বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তা অনুমোদন করায়-আমরা তাকে, তার সরকারকে ও ভারতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে আগেই অভিনন্দিত করেছিলাম।

তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, আজ জাতির জীবনে একটি গৌরবোজ্জল দিন, আনন্দের দিন। শক্রবার রাত ১২টায় পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ৬৮ বছর পর ওই ছিটমহলের এই দুই দেশের জনগন নাগরিকত্ব ফেরত পেয়েছেন। এক সময় তাদের ছিটের জনগণ বলা হতো। এখন বাংলাদেশে আর কোনো ছিট নেই। ৫২ হাজার মানুষ ১৬ কোটি মানুষের সাথে তারা মূলধারায় ফিরে এসেছেন, নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ছিটমহলগুলোতে সকাল থেকে পতাকা উড়ছে। বিএনপি এই শুভক্ষণে আনন্দিত।

ছিটমহলগুলোতে যাতে দ্রুত উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করে সেখানে জনগণের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার হয়, সেজন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান রিপন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভুখণ্ডে মিশে যাওয়া বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর মানুষের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগোযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সব উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। মূলধারার মতো তারাও যেন সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারেন, সেজন্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।

ড. রিপন এ প্রসঙ্গে বলেন, পত্রিকান্তরে দেখা গেছে, বিশেষ করে বিসিসি’র একটি প্রতিবেদনে দেখেছি-বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া একটি ছিটমহলে কিছু মানুষের ইচ্ছানুযায়ী নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হয়নি। এদের মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন, যারা ভারতে নাগরিকত্ব পেতে চেয়েছিলেন। তাদের জোর করে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের ফরম নিবন্ধন করা হয়েছে। তারা নিজেরা টিপসই দেননি বলে বিসিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ওই টিপসই অন্যরা দিয়ে ফরম পূরণ করা হয়েছে। এটি একটি সঙ্কট। এই ত্রুটিটি না থাকলে বাংলাদেশের ডিমার্কেশন প্রসেস অব ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্টের বিষয়টি খুব সুন্দর হতো। সরকারকে বলব- যদি সুযোগ থাকে, আইনগত কোনো জটিলতা না থাকে তাহলে ভারতের সাথে আলাপ করে বিষয়টির যেন সুরাহা করা হয়।

Leave a Reply