ছাত্রলীগকে আগাছামুক্ত হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

01/09/2015 12:23 pmViews: 9

ছাত্রলীগকে আগাছামুক্ত হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

 

সংগঠন থেকে আগাছা উপড়ে নীতি ও আদর্শের ওপর চলতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করতে হবে। মানুষের আস্থা, ভালবাসা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। কারণ এখনও পরাজিত শক্তির চাটুকাররা দেশে আছে। বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন, এ দেশের মাটি উর্বর, এখানে বীজ ফেললেই যেমন গাছ হয়; আবার এ উর্বর ভূমিতেই আগাছাও জন্মে। আর এই আগাছাগুলোই আসলদের সর্বনাশটা করে। কাজেই আগাছাগুলো উপড়ে ফেলে ভাল গাছগুলো যাতে বেড়ে উঠতে পারে, সে পথটাই আমাদের বেছে নিতে হবে।
১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে গতকাল ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ই আগস্টের হামলা শুধু একটি পরিবারের উপরই নয়। পরাজিত শক্তি স্বাধীন জাতিসত্তাকে নষ্ট করতেই এ হামলা চালিয়েছিল। ক্ষমতার জন্য হত্যা করলে শুধু রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করতো। একসঙ্গে তিনটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের সবাইকে হত্যা করতো না। এ ধারাবাহিকতায় পঁচাত্তরের পর শুরু হয় মিথ্যা প্রচারণা। যেন আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করে বড় ভুল করে ফেলেছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া এতবড় বেঈমান মোনাফেক ছিল। জিয়া শুধু সংবিধান লঙ্ঘন নয়; আর্মি অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় আসে। মানুষের সকল অধিকারকে নস্যাৎ করে। তখন বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করাকেও নিষিদ্ধ করে। সে সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজিয়ে অনেক ছাত্রনেতা জীবন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের কত নেতাকর্মীকে জিয়াউর রহমান হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে তার হিসাব নেই। পঁচাত্তরের পর মনে হয়েছিল এটা যেন স্বাধীন দেশ না।
আলোচনায় তিনি বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামের পথে বঙ্গমাতার অবদান তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের বর্ণনায় তিনি বলেন, একটা মানুষ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন। সংগ্রামের পথে পথে অনেকে জীবন দিয়েছেন। জাতির পিতা নিজের জন্য কিছু চাননি। তার একটাই আকাঙক্ষা ছিল। একটি ভূখণ্ড, জাতি হিসেবে বাঙালি জাতির আলাদা একটু মর্যাদা। শেখ হাসিনা বলেন, আমার মনে হয় একমাত্র নেতা তিনিই (বঙ্গবন্ধু), যিনি সংগঠন করার জন্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছেন।
বঙ্গমাতার স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম যতটুকুই শিখেছি, মায়ের কাছ থেকেই শেখা। আমার মা কোন দিন পাকিস্তান যান নাই। বাবা দেশ স্বাধীন করার পরিকল্পনা করছেন, বাবার মনের কথা তিনি জানতেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক ড. সুলতানা শফি, শিক্ষাবিদ ড. ফখরুল আলম বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply