চীন নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই করোনা নিয়ে প্রথম সতর্কতা দেয়
চীন নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই করোনা নিয়ে প্রথম সতর্কতা দেয়
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ে চীন নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেই প্রথম সতর্কতা দেয়া হয়েছিল। শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়।
করোনা বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, করোনা মহামারি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পাশপাশি তিনি আরো অভিযোগ করেন যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের পক্ষ হয়ে কাজ করছে। সংবাদ সম্মেনে ট্রাম্পের এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা মহমারি নিয়ে সমালোচনার মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গত ৯ এপ্রিল ভাইরাসটি নিয়ে তাদের তথ্য সরবরাহের ওপর একটি টাইমলাইন তুলে ধরে। ওই টাইমলাইনে বলা হয়,চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের পৌর স্বাস্থ্য কমিশন থেকে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ নিউমোনিয়া আক্রান্ত কয়েকজন রোগীর খবর পাওয়া যায়। তবে কারা এই খবর দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সেটি স্পষ্ট করা হয়নি।
গত ২০ এপ্রিল একটি সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, চীন থেকে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। তবে সেই খবর কি চীন সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে না কি অন্য কোনো উৎস থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায় সেটি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়নি।
এই সপ্তাহে প্রকাশিত নতুন তথ্যে দাবি করা হয়, চীনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক অফিস থেকে তারা এই ভাইরাল নিউমোনিয়ার কথা জানতে পারে। এ জন্য তারা উহানের স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য আমলে নেয়। ওই দিনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মহামারি সংক্রান্ত নজরদারি নেটওয়ার্ক প্রোমেডের উহানের অজানা ভাইরাস নিয়ে প্রকাশিত তথ্যও আমলে নেয়।
এর পরেই জানুয়ারির ১ এবং ২ তারিখ চীনের সরকারকে এ নিয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শেষ পর্যন্ত ৩ জানুয়ারি চীন করোনা ভাইরাসের কথা স্বীকার করে নেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সি বিষয়ের পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বলেন, চীন কর্তৃপক্ষকে করোনার বিষয়ে বলা হলে তারা দ্রুত যোগাযোগ করে।