চীনের ২২শ কোটি ডলার ঘরে তুললেন মোদি
চীনের ২২০০ কোটি ডলার ঘরে তুললেন মোদি। ভারত ও চীনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো শনিবার প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি ডলারের ২১টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চীনের সাংহাইয়ে সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২শ’ চীনা ও ভারতীয় কোম্পানির নির্বাহীদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ভারত এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। চীনে তিনদিনের সফরের শেষ দিন কাটাচ্ছেন মোদি।
ভারতের বৃহত্তম ব্যবসায়ী অংশীদার চীন। দুই দেশের মধ্যে ২০১৪ সালে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ১শ’ কোটি ডলার। তবে চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ২০০১-০২ সালের ১শ’ কোটি ডলার থেকে বেড়ে গত বছর ৩ হাজার ৮শ’ কোটি ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের দূতাবাসের বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা নামগিয়া খানপা চুক্তি সইয়ের কথা নিশ্চিত করেছেন। ভারতের কর্মকর্তারা বলেন, এসব চুক্তি অনুসারে ভারতের বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে চীনের ব্যাংকগুলো আর্থিক সহায়তা দেবে। টেলিকম, ইস্পাত, সৌরশক্তি ও চলচ্চিত্র খাতেও দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এক ব্যবসায়ী ফোরামে মোদি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই শতাব্দী এশিয়ার।’ তিনি গৃহায়ন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, দ্রুতগতির রেল, মেট্রো, বন্দর, বিমানবন্দর খাতসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে চীনকে আহ্বান জানান। এসব খাতের উন্নয়নে চীনের সহায়তা দরকার বলে তিনি মনে করেন। এএফপি।
জীবনবৃত্তান্ত দেখে কেউ আমাকে প্রধানমন্ত্রী বানায়নি’ : ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, জীবনবৃত্তান্ত দেখে তাকে কেউ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেনি।
তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে অবস্থানরত নরেন্দ্র মোদি শনিবার (১৬ মে) সাংহাইয়ে ভারতীয় জনগোষ্ঠীর এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এ কথা বলেন। সাংহাইয়ে আইসিবিএস এক্সপো সেন্টারে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেখানে অবস্থানরত অন্তত পাঁচ হাজার ভারতীয় উপস্থিত হয় বলে জানা গেছে।
বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার জন্য ভারতীয়দের কুর্ণিশ করার কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, সময় খুব দ্রুত বদলে যেতে শুরু করেছে। চীনে ভারতীয়রা সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে, তা হয়তো আগে কখনো ভাবা যায়নি।
মোদি বলেন, আজ থেকে এক বছর আগেও আপনারা সবাই ভারতের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় সবাই বলত, ভারতের বাইরে মোদিকে ক’জন জানে? শুধুমাত্র গুজরাটের মানুষরাই তাকে চেনে।
তিনি বলেন, এই সমালোচনা সঠিক ছিল। তবে সে দ্বিধা এখন ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আপনাদের শুভকামনাই আমাকে এখানে আনতে পেরেছে এবং শুধুমাত্র আপনাদের আশীর্বাদ থাকলেই আমি এমন কোনো সিদ্ধান্তে যাব না, যা আমাদের দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।