চার শর্তে যেতে পারে বিএনপি
২৮ জুলাই, ২০১৫
চার শর্ত পূরণ হলে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে বলে মনে করেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। তার মতে, সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শর্তগুলো পূরণ হলে নির্বাচন নিয়ে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। সবার অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করা সম্ভব। সোমবার যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ ভিসি।
বিএনপির থিংকট্যাংক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের মতে, নির্বাচন কমিশন ঢেলে সাজাতে হবে। নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত আইনশৃংখলাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হতে হবে নিরপেক্ষ। মেয়াদ শেষে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকারে বর্তমান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে স্বপদে রেখেই একটি সরকার গঠিত হবে। শর্ত চারটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হলে নির্বাচনে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি থাকবে না বলে মনে করেন এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
শর্ত চারটি প্রসঙ্গে এমাজউদ্দীন বলেন, বর্তমান যে নির্বাচন কমিশন আছে তা নিরপেক্ষ নয়। এ নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই পরিবর্তন করে যোগ্য, নিরপেক্ষ এবং মেধাবীদের নিয়োগ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকার ও বিরোধী দলের মতামতের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দিতে হবে।
নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত আইনশৃংখলাসহ প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিরপেক্ষ হতে হবে। এ সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনই ঠিক করবে কারা নির্বাচন কমিশনে কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে থাকবেন। একই ভাবে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ প্রশাসনের যারা সম্পৃক্ত হবেন তাদের নিরপেক্ষ হতে হবে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তিনি বলেন, একটা পার্লামেন্ট বহাল রেখে বিশ্বের কোথাও জাতীয় নির্বাচন হয় না। তাই পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভেঙে দিতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারে বর্তমান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীকে স্বপদে বহাল রেখেই একটি সরকার থাকবে। তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেও বর্তমান সরকারের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী স্বপদে বহাল থাকবেন। তাদের নিয়ে একটি সরকার থাকবে। এ সরকারের নাম নির্বাচন পরিচালনাকারী বা অন্য কোনো নাম হতে পারে। এসব কিছুই বিএনপিসহ দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে করতে হবে।