চান্দিনায় বেতনের দাবিতে গার্মেন্টসশ্রমিকদের বিক্ষোভ
চান্দিনায় বেতনের দাবিতে গার্মেন্টসশ্রমিকদের বিক্ষোভ
কুমিল্লার চান্দিনায় বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন গার্মেন্টসশ্রমিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা যায়, চান্দিনা পৌরসভার বেলাশহর এলাকায় ‘ডেনিম’ নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা নির্ধারিত তারিখে বেতন না পেয়ে প্রতিবাদ করেন। এ সময় ওই কারখানার মালিকপক্ষের লোকদের সাথে শ্রমিকের হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কারখানার অন্তত দুই হাজার শ্রমিক।
শ্রমিক জিসান জানান, প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে আমাদের বেতন ভাতা দেয়ার কথা। কিন্তু গত মাসে দু’দফায় বেতন পরিশোধ করে মালিকপক্ষ। চলতি মাসে এসেও একই অবস্থা। মাসের ১৩ দিন হয়ে গেলেও বেতন পরিশোধ করা হয়নি। এরপর বুধবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন। একইসাথে রমজান শুরু। আমাদের পরিবারে এখনো বাজার হয়নি। এ ছাড়া আমাদের ওভারটাইমের টাকা পরিশোধ না করে মাস শেষে ওভার টাইম বাদ দিয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলেই শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়।
এ দিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটক বন্ধ করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখার পর চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাসমউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা চেষ্টার পর মালিক ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
এ ব্যাপারে ‘ডেনিম’ কারখানার পরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, ১২টার মধ্যে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টাকা উত্তোলন করতে পারিনি। তারপরও মঙ্গলবার শ্রমিকদের বেতনের ৭০ ভাগ পরিশোধ করে দিচ্ছি। ১৫ তারিখে বাকি ৩০ শতাংশ বেতন পরিশোধ করা হবে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
এ ব্যাপারে ওসি শামসউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা শান্ত হয়ে ৭০ শতাংশ বেতন গ্রহণ করে বাসায় যাচ্ছেন।