জোবায়ের হাসান ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী গ্রামের মো. শহিদুল হক খন্দকারের ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল শাপলা মসজিদ এলাকায় বসবাস করতেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোখলেছুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় জোবায়ের হাসানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জবানবন্দি অনুযায়ী, গত ২১ সেপ্টেম্বর জেলা শহরের উকিলপাড়া সিএনজিস্ট্যান্ড এলাকার একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় রাহাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের মতো ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাহাত চাচাতো বোন আরিফা সুলতানার বাসায় তার শিশুপুত্রকে প্রাইভেট পড়াতে গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী হাজির হন জোবায়ের। আরিফাকে কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাহাতের ওপর ছুরি নিয়ে হামলে পড়েন। এ সময় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে রাহাতকে গলা কেটে হত্যার পর তিনি পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় নিহত রাহাতের মা মাহমুদা সুলতানা বাদী হয়ে জোবায়েরকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। সেদিনই পুলিশ জোবায়েরের মা মাহমুদা আক্তার (৫৫), বাবা মো. শহিদুল হক খন্দকার (৬০) ও বোন আরিফা সুলতানাকে (৩২) গ্রেপ্তার করে। ২৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে নেত্রকোণার খালিয়াজুরি উপজেলা সদরে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সমন্বিত একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে প্রধান জোবায়েকে গ্রেপ্তার করে।

তাকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাহাত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বার জানান, পারিবারিক কলহের জের ও চাচার প্রতি ক্ষোভ থেকে জোবায়ের হাসান এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।