চলচ্চিত্রে ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না

04/04/2017 10:53 amViews: 10

চলচ্চিত্রে ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো যাবে না

 

চলচ্চিত্রে সরাসরি কোনো ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো নিষিদ্ধ। এছাড়া অপরাধীদের কার্যকলাপের কৌশল প্রদর্শন যা অপরাধের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন ও মাত্রা আনতে সহায়ক হতে পারে এমন দৃশ্য পরিহার করতে হবে। এমন বিধান যুক্ত করে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এর অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র সম্প্রসারিত ও উৎসাহিত করতে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে মন্ত্রিসভা চলচ্চিত্র নীতিমালা পাস করল। নীতিমালা অনুযায়ী চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস ও তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা সমুন্নত রাখতে হবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, কোনো চলচ্চিত্রে কোনোভাবেই রাষ্ট্র ও জনস্বার্থবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা যাবে না।  চলচ্চিত্রে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করা যাবে না। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে দেশীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার সুষ্ঠু প্রতিফলন এবং এর সঙ্গে জনগণের নিবিড় যোগসূত্র স্থাপন ও সাংস্কৃতিক ধারাকে দেশপ্রেমের আদর্শে অনুপ্রাণিত করার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ভাবধারার সুষ্ঠু প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সকল ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে এবং ধর্মীয় সহিংসতারোধে জনগণকে উজ্জীবিত করতে হবে। এ জাতীয় অনেক বিষয় নীতিমালায় রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কোনো অশোভন উক্তি, আচরণ এবং অপরাধীদের কার্যকলাপের কৌশল প্রদর্শন যা অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন ও মাত্রা আনতে সহায়ক হতে পারে এমন দৃশ্য পরিহার করতে হবে। চলচ্চিত্রের সংলাপে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা পরিহার করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী চলচ্চিত্র আমদানি ও রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এরা কোনো চলচ্চিত্র আমদানি বা রপ্তানির সুপারিশ করবে। তথ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের জাতীয় চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি থাকবে। এই কমিটি নীতিমালার আলোকে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন সুপারিশ দেবে। চলচ্চিত্রে দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগের কথাও নীতিমালায় বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনে যৌথ বিনিয়োগ উৎসাহিত ও বাজার সমপ্রসারণে সংশ্লিষ্ট দেশের চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, প্রযোজক সমন্বয়ে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের নির্মাণ উৎসাহিত করা হবে। চলচ্চিত্র নীতিমালা অনুমোদন দেয়ার সময় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, চলচ্চিত্রের জন্য বড় সমস্যা হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ। প্রেক্ষাগৃহগুলো বাণিজ্যিক ভবন হয়ে যাচ্ছে, দোকানপাট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তিনি বলেন, ৬৪ জেলায় ৬৪টি সরকারি তথ্য ভবন হবে। এ ভবনে একটি করে সিনেপ্লেক্স থাকবে। সরকারি অনুদান দিয়েও বিভিন্ন জেলায় ডিজিটাল সিনেপ্লেক্স করা হবে।

Leave a Reply