চরফ্যাশনে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা :গ্রেফতার -১
চরফ্যাশন সংবাদদাতা: ভোলার চরফ্যাশনের খোদেজাবাগ গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে ছালমা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যার পর স্বামীর বাড়িতে এই হত্যাকান্ডের পর লাশ ফেলে বাড়ির লোকজন গা-ঢাকা দিয়েছে। চরফ্যাশন থানা পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সালমার শশুর নেজামল হকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
নিহতদের পরিবারের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইন চার্জ আবুল বাসার জানান, খোদেজাবাগ গ্রামের হত-দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেনের কন্যা ছালমার সাথে প্রতিবেশী নেজামল হকের পুত্র আকতার হোসেনের বিয়ে হয় প্রায় আড়াই বছর আগে। পেশায় রাজমিস্ত্রি আকতার হাসেন কাজ-কর্ম না করে তাস-জুয়ায় সময় কাটাতো। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। ঘটনার দিন বৃহষ্পতিবার সকালে স্বামীর কাজে না যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছালমা ও আকতারের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে আকতার স্ত্রী ছালমাকে মারধর করে। অভিমানে ছালামা দুপুরে নিকট দূরত্বের বাবার বাড়ি চলে যায়। বিকেলে বাবা-মা বুঝিয়ে শুনিয়ে ছালমাকে স্বামীর বাড়িতে ফেরৎ পাঠায়। ফিরে আসার পর সন্ধ্যায় স্বামী আকতার হোসেন, শ্বাশুড়ী আয়েশা বেগম এবং চাচী শ্বাশুড়ী আমেনা বেগম দ্বিতীয় দফায় ছালমাকে মারধর করে। বেধকড় পিটুনিতে ছালমা সজ্ঞা হারালে মৃত ভেবে এই তিন জন ছালমাকে ঘরের পাশে বড়ই গাছে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন দেখে ফেলায় এই চেষ্টা ব্যর্থ হলে দেহটি ঘরের চৌকির উপর লেপমুড়িয়ে সকলে গা-ঢাকা দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে লাশ ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ছালমার ভাই মোকতার বাদী হয়ে হয়ে ১০ জনকে আসামী করে চরফ্যাশন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সালমার শশুর নেজামল হকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, নিহত ছালমার মাথা, ঘাড়,গলা এবং হাতে ক্ষতচিহ্ন ছিল। ধারনা করা হচ্ছে-পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।