চরফ্যাশনে গাইনী ডাক্তারের অবহেলা: দানশীল ব্যক্তির সহয়তায় মৃত্যু থেকে রক্ষা পেলো এক দরিদ্র প্রসূতি

27/10/2013 1:48 pmViews: 19

bhola mepচরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥ ভোলার চরফ্যাশন হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার অর্থলোভী আবদুল ওদুদের অবহেলার কারণে মাইনুরবেগম নামের এক দারিদ্র প্রসূতি মহিলা পেটে মরা বাচ্চা নিয়ে ৩দিন পর্যন্ত মৃত্যুর যন্ত্রনা ভোগ করেছে। পরে চরফ্যাশনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্জ এবিএম ছিদ্দিক এর অর্থ সহায়তা  চরফ্যাশন সিটি হার্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ’র চিকিৎসা সহায়তা দেয়ায়  ওই প্রসূতির মহিলা প্রাণে বেচে যান।
জানা গেছে, গত ৩ দিন পূর্বে চরফ্যাশন হাসপাতালে প্রসুতি বিভাগে ভর্তি হন দক্ষিণ আইচা গ্রামের নাসিমের স্ত্রী মাইনুর বেগম। গাইনী ডাক্তার আবদুল ওদুদ বলেছেন, তাকে সিজার করা লাগবে। পেটের বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। ভোলা নিতে হবে। অসহায় দারিদ্র রোগীর পরিবারের কাছে ছিলনা কোন টাকা-পয়সা। গত ২৬অক্টোবর/১৩ তারিখে রাতে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা আকলিমা ফারুক মিলা হাসপাতালে তার মেয়েকে নিয়ে অবস্থান করেছিলেন। রাত ১১টায় কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে তিনি ওই মহিলার কাছে গিয়ে খোজখবর নিয়ে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ছিদ্দিকুর রহমানকে জানান। তিনিও সিজারের কথা বলেছেন। বিষয়টি মিলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ভিপিকে অবহিত করলে তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ফোন করেন। এবং টাকার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে মিলা তার সহযোগিদের নিয়ে রাত সাড়ে ১২টার সময় চরফ্যাশন সিটি হার্ট হাসপাতালে অসহায় মহিলা রোগী নিয়ে উপস্থিত হন। সিটি হার্টের অভিজ্ঞ নার্স নাজমা বেগম চেষ্টা চালিয়ে বাচ্চাটি রাত সাড়ে ৩টা মহিলা নেত্রী মিলা  উপস্থিতিতে বের করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার সকাল ৯টার সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ভিপি,স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমান এবং মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী আকলিমা ফারুক মিলা উপস্থিত হয়ে সিটি হার্ট হাসপাতালের অভিজ্ঞ নার্স নাজমা বেগমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। যে কাজটি হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার আবদুল ওদুদ করতে পারেনি। সে কঠিন কাজ নাজমায় সিটি হার্টের সহযোগীতায় ফ্রী ভাবে করা হয়েছে। ওই সময় চরফ্যাশনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্জ এবি এম ছিদ্দিক অসহায় দারিদ্র মহিলা রোগীর সকল খরচ বহন করেছেন। বর্তমানে রোগী মাইনুর বেগম সিটি হার্ট হাসপাতালের বেডে সুস্থ্য রয়েছে। তাকে রক্তদান কারীরা কয়েক ব্যাগ রক্ত সেচ্ছায় দান করেছেন বলে জানা গেছে।
আকলিমা বেগম মিলা জানান, সরকারি হাসপাতালে দারিদ্র রোগীদের কোন চিকিৎসা হয়না,গাইনী ডাক্তার  আ: অদুদ টাকা ছাড়া কোন কাজ করেননা। অসহায়দের জন্যে ডাক্তারের মন কাদেনা। কেন গাইনী ডাক্তার রাখা হয়? চরফ্যাশন হাসপাতাল যেটি পারেনি সে করেছে সিটি হার্ট হাসপাতালের অভিজ্ঞ নার্স নাজমা বেগম। আমরা তাকে পুরস্কৃত করার সিন্ধান্ত নিয়েছি।

Leave a Reply