চতুর্থ ধাপের ৪০ উপজেলার ফলাফল বিএনপি-১২, আ.লীগ-২১, জামায়াত-৩, অন্যান্য-৪
ঢাকা, ২৩ মার্চ : বিভিন্ন স্থানে তান্ডব, সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়া এবং ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চতুর্থ ধাপে ৪৩ জেলার ৯১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ। এ রিপোর্ট পর্যন্ত ৯১ উপজেলায় মধ্যে ৪০টির বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে।
এর মধ্য বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ১২, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ২১টি, জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ৩টি, অন্যান্য ৪টিতে বিজয়ী হয়েছে।
নিচে বিজয়ীদের নাম ও উপজেলা :
ঢাকা বিভাগ
কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে গিয়াস উদ্দিন (বিএনপি), মিঠামাইনে আ. শহীদ ভুঞা, ইটনায় চৌধুরী কামরুল হাসান (আ.লীগ), তাড়াইলে কামালউদ্দিন (জাপা)।
শেরপুর : নালিতাবাড়িতে মোখলেসুর রহমান (বিএনপি)।
নেত্রকোনা : মদনে এমএ হাশেম (বিএনপি)।
টাঙ্গাইল : মধুপুরে সারোয়ার আলম (আ.লীগ)।
চট্টগ্রাম বিভাগ
কুমিল্লা : মেঘনায় আ. সালাম (আ.লীগ)।
ফেনী : ফুলগাজীতে একরামুল হক, সোনাগাজীতে নাজিম ওসমানী (আ.লীগ)।
বান্দরবান : নাইক্ষাছড়িতে তোফায়েল আহমদ (জামায়াত)।
রাঙ্গামাটি : জোড়াছড়িতে উদয় জয় চাকমা (জেএসএস)।
চাঁদপুর : শাহরাস্তিতে দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী (বিএনপি)।
খুলনা বিভাগ
খুলনা : বালিয়াডাঙ্গায় আশরাফুল আলম, তেরখাদায় শরফউদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু (আ.লীগ)।
সাতক্ষীরা : কলারোয়ায় ফিরোজ আহমেদ স্বপন (আ.লীগ)।
ঝিনাইদহ : হরিণাকুন্ডুতে এম এ মজিদ (বিএনপি)।
যশোর : সদরে শাহীন চাকলাদার (আ.লীগ)।
চয়াডাঙ্গা : জীবননগরে আবু মো. আ. লতিফ, দাকোপে শেখ আবুল হাশেম (আ.লীগ)।
কুষ্টিয়া : দৌলতপুরে ফিরোজ আল মামুন (আ.লীগ)।
রাজশাহী বিভাগ
সিরাজগঞ্জ : চৌহালিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন (বিএনপি)।
জয়পুরহাট: পাঁচবিবিতে মোস্তাফিজুর রহমান (জামায়াত)।
পাবনা : ফরিদপুরে খলিলুর রহমান (আ.লীগ)।
সিলেট বিভাগ
সিলেট : সদরে আশফাক আহমদ (আ.লীগ), কানাইঘাটে আশিক চৌধুরী (বিএনপি)।
সুনামগঞ্জ : সাল্লায় গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার, ধর্মপাশায় মোতালেব খান (বিএনপি)।
হবিগঞ্জ : সদরে সৈয়দ আহমেদুল হক (স্বতন্ত্র), লাখাইয়ে মুশফিউল আলম আজাদ, নবীগঞ্জে আলমগীর চৌধুরী, আজমিরীগঞ্জে আতর আলী মিয়া (আ.লীগ)।
বরিশাল বিভাগ
ভোলা : মনপুরায় সেলিনা আক্তার চৌধুরী, তজুমদ্দিনে আহমেদ জসীম (আ.লীগ)।
বরগুনা : বেতাগীতে শাহজাহান কবীর (বিএনপি)।
পিরোজপুর : জিয়ানগরে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী (জামায়াত), ভান্ডারিয়ায় আতিকুল ইসলাম উজ্জ্বল (জেপি)।
ঝালকাঠি : কাঠালিয়ায় ফারুক শিকদার (আ.লীগ)।
রংপুর বিভাগ
ঠাকুরগাঁও : পীরগঞ্জে জিয়াউল ইসলাম (বিএনপি)।
দিনাজপুর : ফুলগাজীতে খোরশেদ আলম (বিএনপি)।
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনী ৯১টি উপজেলা হলো: ঢাকার ধামরাই, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, পাবনার ঈশ্বরদী, ফরিদপুর, ঝিনাইদহের হরিণাকু-, নড়াইলের নড়াইল সদর, খুলনার তেরখাদা, রূপসা, বটিয়াঘাটা, দাকোপ ও ফুলতলা, পিরোজপুর সদর, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া ও জিয়ানগর, টাঙ্গাইলের কালিহাতি, মধুপুর, নাগরপুর ও ভুয়াপুর, হবিগঞ্জের সদর, নবীগঞ্জ, আজমিরিগঞ্জ ও লাখাই, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, রাজশাহীর তানোর, বাগমারা ও পুঠিয়া, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, পটুয়াখালীর সদর, দুমকী, বাউফল, গলাচিপা ও মির্জাগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, নাসিরনগর, কুমিল্লার মেঘনা ও বর“ড়া, চাঁদপুরের শাহরাস্তি, ফেনীর সোনাগাজী ও ফুলগাজী, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ ও ফুলবাড়ী, যশোরের সদর ও কেশবপুর, সাতক্ষীরার কলারোয়া, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, বাগেরহাট মোল্লারহাট ও চিতলমারী, ভোলার তজুমুদ্দিন, দৌলতখান ও মনপুরা, বরিশালের আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও বানরীপাড়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, রাঙ্গামাটির জুড়াছড়ি, সিলেট সদর ও কানাইঘাট, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, সাতকানিয়া ও আনোয়ারা, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, সিরাগঞ্জের চৌহালী, মৌলভীবাজার সদর শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ, নাটোরের বড়াইগ্রাম, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা ও ধর্মপাশা, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, ঝালকাঠী সদর, কাঠালিয়া, নলসিটি ও রাজাপুর, বগুড়ার গাবতলী, নেত্রকোণা মদন, কিশোরগঞ্জ ভৈরব, ইটনা, মিঠামাইন, তাড়াইল ও কটিয়াদি, বরগুনার বেতাগী, কঙবাজারের রামু ও কুতুবদিয়া, বান্দরবানের নাইখাংছড়ি।
রবিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান নিহত হয়েছে। এছাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হাজিজ মিয়া, ঝালকাঠির রাজাপুরে রিপন নামে এক যুবলীগ কর্মী এবং কুমিল্লার বরুড়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। এদিকে, নির্বাচন শুরুর পরপরই কয়েকটি উপজেলায় প্রার্থীরা ভোট বর্জন করে সোমবার হরতালের ডাক দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ ধাপের ৪৩ জেলার ৯১টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ১৮৬ প্রার্থী প্রতিদ্বিন্দ্িবতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩৮৯, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪৮৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩১২ জন। এসব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৪৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭১ লাখ ৩৯ হাজার ১০২ এবং নারী ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৪২ জন।
ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ১০৮টি। ভোট কক্ষ ৩৮ হাজার ৬৪৪টি। প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৬ হাজার ১০৮ জন। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৩৮ হাজার ৬৪৪ জন এবং পোলিং অফিসারের সংখ্যা ৭৭ হাজার ২৮৮ জন।