চট্টগ্রামে হেফাজত নেতা মুফতি ইজহার গ্রেফতার
ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে লালদীঘির পারের গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছিল।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। শুক্রবার তিনি নিজের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় এলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মুফতি ইজহার ও তার পুত্র মুফতি হারুন ইজহারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ইজহারের ছেলে হারুনও হেফাজতে ইসলামের নেতা। কয়েকটি মামলায় তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। ইজহারের পরিচালিত লালখানবাজার মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন। ওই ছাত্রাবাসের দায়িত্বে ছিলেন মুফতি হারুন। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে চারটি তাজা গ্রেনেড, ১৮ বোতল এসিডসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশ নগরীর খুলশী থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে তিনটি মামলা করে, যার সবগুলোতেই ইজহার ও হারুনকে আসামি করা হয়। ২০১৪ সালের বিভিন্ন সময়ে এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পাকিস্তানভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কানেকশনের অভিযোগে ২০১০ সালে একবার মুফতি হারুন ইজহার গ্রেফতার হন।
গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি তানভির আরাফাত জানান, ‘গ্রেফতারকৃত মুফতি ইজহারুল ইসলামকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। লালখানবাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলার আসামি তিনি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হবে।’