চট্টগ্রামসহ দেশের সব বড় শহরগুলোতেও মেট্রোরেল প্রকল্প নেয়ার নির্দেশনা
চট্টগ্রামসহ দেশের সব বড় শহরগুলোতেও মেট্রোরেল প্রকল্প নেয়ার নির্দেশনা
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- মেট্রোরেল শুধু ঢাকায় কেন? চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল হওয়া উচিত। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য বড় শহর যেখানে বড় পুরনো বিমানবন্দর আছে, সেসব শহরেও মেট্রোরেল জাতীয় আইডিয়া আমাদের করা উচিত। মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ঢাকার প্রকল্প শেষ হওয়ার পর বন্দরনগরীতে মেট্রোরেলের কাজ শুরুর কথা বলেছেন।
শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের রুটের কথাও বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল নির্মাণের বিষয়ে নির্দেশনা দেন। আগামীতে প্রকল্প হাতে নেয়ার আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের জন্য মেট্রোরেল আলোচনায় আসছে। আমরাও এখানে পরিকল্পনা কমিশনকে উৎসাহ দেবো এবং তাড়াতাড়ি (প্রকল্প) আসার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকেও উৎসাহ দেবো।
এমএ মান্নান বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এত আয়ের সুযোগ আছে, কিন্তু হচ্ছে না। তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয় বৃদ্ধি করা উচিত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে চট্টগ্রামের চাক্তাই খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করতে নিচের দিকে যাওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চাক্তাই খালের তলদেশ পাকা করে দেয়ার কারণে নিচে পানি যেতে পারে না। এতে পানি শুধু উপরেই থাকছে। এতে সর্বনাশ হচ্ছে। পানি নিচে যেতে পারে না বলে উপচে পড়ে শহর ডুবছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খবরদার নালা বা খালের নিচে এভাবে (পাকা করে) দেবেন না। তবে সেচের জন্য করতে পারেন। কারণ সেচের পুরো পানিটা রক্ষা করতে চাই। কিন্তু এটা তো সেচ নয়। এটা তো বন্যা নিয়ন্ত্রণ। সুতরাং এটা নিচে খালি রাখতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত চট্টগ্রামের মেয়রকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী সিটি করপোরেশনের আওতা বেশি না বাড়িয়ে স্যাটেলাইট টাউন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রকল্প যথাসময়ে শেষ করতে না পারলে পরামর্শকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়টিও বৈঠকে গুরুত্ব দেয়া হয়। মন্ত্রী বলেন, অনেক প্রকল্পের সমীক্ষা হওয়ার পরও প্রকল্প ঠিক সময়মতো শেষ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বৈঠকে কথা উঠেছিল। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই হওয়ার পরও দেখা যায় দুইবার/তিনবার সংশোধন করতে হয়, দাম বাড়াতে হয়। ঠিকাদার বকা খায়, পিডব্লিউডি (গণপূর্ত অধিদপ্তর) বা সড়ক বকা খায়, কিন্তু পরামর্শকরা আড়ালে থাকেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরামর্শকদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে দেখি কী করা যায়।