ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলন চলবে: ফখরুল
ঢাকা : জনতার যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ দলীয় জোটের সকল কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শুক্রবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
বিবৃতিতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জনগণকে সাথে নিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনে ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান বিএনপির মুখপাত্র।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিরোধী দল নিধনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে ক্রমান্বয়ে এক চরম নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, সরকার দলীয় গুণ্ডারা সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে তার দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে, যা আওয়ামী লীগের চিরাচরিত মিথ্যাচারেরই অংশ।
সংখ্যালঘু হামলায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন, তাছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই এখন হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করে সংবাদপত্রে তাদের ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যমে হামলাকারী কারা তা চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ১৮ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে নির্যাতিত সম্প্রদায়ের পাশে থেকে যথাযথ সাহায্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনে ভোটারদের অনুপস্থিতি ও দেশবাসীর স্বতঃস্ফুর্ত বর্জন এবং দেশ-বিদেশে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থার প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সহিংসতার অভিযোগ করছে। ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেফতার এবং যৌথ বাহিনী ও তাদের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।
৫ জানুয়ারির অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও অপকৌশল দ্বারা চলমান গণআন্দোলনকে কোনোভাবেই কলুষিত করে স্তব্ধ করা যাবে না বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন ও গ্রেফতার অভিযান বন্ধ না করলে অতীতের স্বৈরাচারদের মতোই ভাগ্য বরণ করতে হবে।