গ্রেফতার বন্ধ না হলে পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না
বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন পৌর নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে গ্রেফতার বন্ধ না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্বাচনে কম্পিটিশন না হয়ে একপেশে হবে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখা হলে নীল নকশার নির্বাচন বলে ফের প্রমাণিত হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিরোধী দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করছে সরকার। গ্রেফতার বন্ধ না হলে পৌর নির্বাচনও ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন হবে। বিএনপির প্রার্থীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করে পৌরসভা নির্বাচনে সরকার প্রতিযোগীতার মাঠ নষ্ট করছে। এরফলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, আমরা গ্রেফতার বন্ধ করার আহবান জানিয়েছিলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে গ্রেফতার করেই চলছে। সোমবার মানিকগঞ্জের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এ এফ এম আজিজুল হককে কোন কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করেছে। এরকম গ্রেফতার চলতে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
নির্বাচন কমিশনকে সরকারের আজ্ঞাবহ কমিশন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকেন।সরকার কী নিদের্শ দেয়- সরকারকে খুশি করার জন্য নিদের্শ অনুযায়ী কাজ করে। তারা যদি কোনো পদক্ষেপ না নিতে পারেন তাহলে তাদের কমিশনে থাকার দরকার কী? এজন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চেয়েছিলাম।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বিএনপির দাবি অনুয়ায়ী ১৫ দিন পিছিয়ে দিলে ৫০ লক্ষ ভোটার ভোট প্রদানের সুযোগ পেত। কিন্তু নির্বাচন কমিশন দাবিকে আমাদের তোয়াক্কা করেনি। সুষ্ঠু নির্বাচন করার সামর্থ্য নির্বাচন কমিশন অনেক আগেই হারিয়েছে। সরকারের ক্ষমতার কাছে নতজানু হয়েছে। দেশি-বিদেশি মহলে অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন পেছানোর জন্য তাবলীগ জামাতের যুক্তি মেনে নেয়া যায় কিন্তু পরীক্ষার যুক্তিটা অগ্রহণযোগ্য। তারিখ পিছিয়ে সুযোগ দিলে ৫০ লক্ষ ভোটার ভোট দেয়ার সুযোগ পেতেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, আব্দুল লতিফ জনিসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।