আবাসিক খাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মাসে এক চুলার বিল ৯৯০ টাকা করা হয়েছে। আর দুই চুলা করা হয়েছে এক হাজার ৮০ টাকা। এতদিন দুই চুলার বিল ছিল ৯৭৫ টাকা। আর এক চুলার বিল ৯২৫ টাকা। অর্থাৎ গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে গ্যাসের মাসিক বিল দুই চুলার ক্ষেত্রে এক হাজার ৮০ টাকা ও এক চুলার ক্ষেত্রে ৯৯০ টাকা করার সুপারিশ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি।

রোববার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ দর ঘোষণা করেন বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক। অন্যদের মধ্যে অংশ নেন কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।

গ্যাসের গড় মূল্যহার প্রতি ঘনমিটার ৯ দশমিক ৭০ টাকা থেকে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রতি ঘনমিটার ১১ দশমিক ৯১ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিল জুন মাস থেকেই প্রযোজ্য ও কার্যকর হবে।

এই দাম বৃদ্ধির পরও ১১ হাজার ৮০০ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে বলে জানা গেছে।

পেট্রোবাংলার এলএনজি আমদানি ব্যয় মেটাতে এই ভর্তুকি দেবে বিইআরসি ৷ এরমধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল থেকে  তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এছাড়া গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানির

কর-পরবর্তী নীট পুঞ্জিভূত মুনাফার প্রায় ১৭ শতাংশ হিসেবে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে ছয় হাজার কোটি টাকা।

এছাড়া সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ ও ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বাড়েনি সিএনজির দাম।

আবু ফারুক বলেন, বাড়ছে না যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজির দাম ৷

এদিকে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বর্তমান দর প্রতি ইউনিট ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘনমিটার প্রতি ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ টাকা করা হয়েছে।