গ্যাটকো মামলা: খালেদার আবেদনের রায় ৫ আগস্ট
০২ আগস্ট, ২০১৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় ৫ আগস্ট। রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় আসলে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
সাত বছর আগে খালেদার করা দুটি রিট আবেদনে হাইকোর্টের দেয়া রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের বেঞ্চ গত ১৭ জুন বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছিলেন।
খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী বলেন, মামলাটি রোববার কার্যতালিকায় এসেছে। রায়ের জন্য ৫ আগস্ট দিন রাখা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেঁজগাও থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা হওয়ার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।
মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আলাদা দুটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকো। এর তিনদিন পর ওই খালেদা ও কোকোর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেয় হাইকোর্ট। দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালে আরেকটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। তার আবেদনে হাই কোর্ট আবারও মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এর পর গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় রুলের শুনানি।