‘গোপালিরা কপালিও হয়’ খালেদাকে হাসিনা
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, উনার (খালেদা) জন্ম বাংলাদেশে নয়। তার জন্ম ভারতে। যার জন্ম বাংলাদেশে না তার এ মাটির জন্য টান থাকবে না। তার অন্তর আত্মাটা রয়ে গেছে পাকি¯ত্মানে। তিনি সব সময় মনে মনে বলেন, আয় মেরি জান, পেয়ারে পাকি¯ত্মান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গোপালিরা কপালিও হয়’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দরকার। আমরা দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছি। এটা অব্যাহত রেখে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আমি গর্বিত যে আমার জন্ম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। যিনি যা-ই বলুক না কেন, গোপালিরা কপালিও হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘গোপালগঞ্জের নাম শুনলে উনার গায়ে জ্বালা ধরে।’
গোপালগঞ্জ খালেদা জিয়ার অপছন্দ হওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে তাঁকে সপরিবারে হত্যার পর এই যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে পুনর্বাসন করেছিলেন খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান।’ তিনি বলেন, ‘তাঁর মুখ থেকে এ ধরনের উক্তি আসবে, এটিই স্বাভাবিক। গোপালগঞ্জের নাম শুনলে উনার গায়ে জ্বালা ধরে। কেন জ্বলে জানি না।’ তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘বিচার না করে খুনিদের হিরো বানানোর চেষ্টা করেছিলেন কারা? যিনি তিক্ত কথা বলেন, তাঁর স্বামী মেজর ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁকে মেজর জেনারেল বানিয়েছিলেন।’ এক ব্যক্তির কোনো জেলার ওপর এত রাগ কেন, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
বিরোধীদলীয় নেতার নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওনার জন্ম কিন্তু বাংলাদেশে নয়, ওনার জন্ম ভারতের শিলিগুড়িতে। কাজেই যার জন্ম বাংলাদেশেই নয়, তার তো এদেশের প্রতি ভালোবাসা থাকবে না। ওনার জান তো পাকিস্তানে পড়ে আছে। এ দেশ ভালো না লাগলে উনি পাকিস্তানে যেতে পারেন। তার পরও তিনি যেন এদেশের মানুষকে যন্ত্রণা না দেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে, এটা ওনার ভালো লাগে না। স্বাধীন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, তিনি এটা কোনোভাবেই চান না। দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন কীভাবে করব, সেই চিন্তাই করি। গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন কেউ ক্ষমতায় থাকে, তখন তাঁর সমগ্র দেশের মানুষকে এক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের তিনজনই নোয়াখালীর। আমি গোপালগঞ্জের লোক বাছতে চাইনি।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও অন্য জেলার লোক আছে। কেউ নরসিংদীর, কেউ সিলেট, কেউ বা ফরিদপুরের। আমি বাংলাদেশকে দেশ হিসেবে দেখি।
– See more at: http://www.1newsbd.com/index.php/politics/35314-2014-01-02-13-26-06#sthash.p6FkSGBJ.dpuf