গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি বহালের রায় স্থগিতের আবেদন
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ২ হাজার ৩৬৭ জন গেরিলাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রবিবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে তালিকা প্রকাশের দিন অর্থাৎ ২০১৩ সালের ২২ জুলাই থেকে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা দিতে বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় ছিল। কিন্তু শুনানি হয়নি। আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে।
১৯৭১ সালে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা একটি গেরিলা বাহিনী গঠন করে মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্রও সমর্পণ করেছিলেন এই গেরিলারা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের ২২ জুলাই গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম সংবলিত তালিকার গেজেট প্রকাশ করে। এতে গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কমরেড মণি সিংহ ও অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নাম ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই তালিকা-সংবলিত গেজেটটি বাতিল করা হয়। এই বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর রিট আবেদন দায়ের করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য।