গুলশানে নিষিদ্ধ হচ্ছে রাজনৈতিক অফিস
উক্ত ঘোষণা কার্যকর করার লক্ষ্যে বারিধারার মতো গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকাকেও ডিপ্লোমেটিক জোন হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ৫ই মে র্যাবের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল কে এম আজাদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ এর চিঠির সূত্র উল্লেখ করে চিঠির বিষয়বস্তুতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজউক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বারিধারা এলাকাকে ডিপ্লোমেটিক জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকা ডিপ্লোমেটিক জোনের আওতাভুক্ত নয়। এ কারণে গুলশান এলাকাটিকে ডিপ্লোমেটিক জোন ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
র্যাবের পাঠানো চিঠিতে দুটি সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের বাসভবন, দূতাবাসের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো ঢাকাস্থ বারিধারা, গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকায় অবস্থিত। এছাড়াও উল্লিখিত এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে দূতাবাসগুলোর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানরা পড়ালেখা করে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সমপ্রতি গুলশান এলাকায় বিভিন্ন মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ বহুবিধ রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন দূতাবাস তাদের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন বলে উল্লেখ করেছেন। এজন্য তিন ধরনের পদক্ষেপ নিতে র্যাবের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, বারিধারার মতো গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকাকেও ডিপ্লোমেটিক জোন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এছাড়া ডিপ্লোমেটিক জোন ঘোষিত এলাকাগুলোতে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিং ও রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যেতে পারে। একইসঙ্গে ডিপ্লোমেটিক জোন ঘোষিত এলাকাগুলো থেকে সব ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য সংগঠনের অফিস স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, র্যাবের কাছ থেকে পাওয়া চিঠির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ‘উল্লেখযোগ্যহারে কর্মকর্তা’ প্রত্যাহারের হুমকির কারণে কূটনৈতিক জোনে মিছিল, মিটিং ও বিক্ষোভে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। ১৭ই ফেব্রুয়ারি মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ডেভিড মিয়েল পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং-এ জানান, আমরা সার্বক্ষণিক ওয়াশিংটনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আগামীকাল (১৮ই ফেব্রুয়ারি) এর মধ্যে ডিপ্লোমেটিক এনক্লেভে মিছিল, মিটিং, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি বন্ধ না হলে উল্লেখযোগ্যহারে দূতাবাস কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার নেয়া হবে। এটি কেবলমাত্র নিরাপত্তার স্বার্থে এবং আমেরিকান গ্লোবাল সিকিউরিটি পলিসির আলোকে নেয়া পদক্ষেপ হবে।