গুমকে টিকে থাকার অবলম্বন করেছে সরকার: ফখরুল
জনসমর্থনহীন ও ভোটারবিহীন সরকার গুমকে টিকে থাকার অবলম্বন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার রাতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, গুম হওয়া মানুষদের বেদনার্ত পরিবাররা এখনও পথ চেয়ে বসে আছে প্রিয়জনদের ফিরে আসার সম্ভাবনায়। রাষ্ট্র সমাজে মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির জন্যই গুমকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট শাসকেরা। মূল লক্ষ্য বিরোধী রাজনীতি ও বিরোধী কণ্ঠকে নির্মূল করা। গুমের অব্যাহত পরিস্থিতিতে দেশে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য। জনসমর্থনহীন ও ভোটারবিহীন সরকার গুমকে টিকে থাকার অবলম্বন করেছে। এই ধারা বয়ে চললে বাংলাদেশ অরাজকতার ঘন অন্ধকারে ডুবে যাবে। মানবতাহীন এক নিষ্ঠুর সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রায় দেড় দশক ধরে ৬০০ এর অধিক মানুষকে গুম করা হয়েছে। বিরোধীদলশূন্য একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই গুমকে অব্যর্থ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নৃশংস গুমের শিকার হয়েছেন সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হিরু, চৌধুরী আলম, সাজেদুল ইসলাম সুমন, জাকিরসহ অসংখ্য মানুষ। এদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, ছাত্র, যুবক, সাংবাদিকসহ ভিন্ন মতের লোকজন। আরেকটি অভিনব গুমের শিকার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তাকে দুই মাস গুম করে রাখার পর পাচার করা হয়েছে অন্য দেশে।
তিনি বলেন, অবিলম্বে গুমের শিকার সব নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। কেবলমাত্র একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হলেই গুম, অপহরণ ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ দূর হবে, জন-জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে।