গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চায় বিএনপি

08/04/2018 3:49 pmViews: 7
গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চায় বিএনপি
 
গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চায় বিএনপি
 
আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বর্তমানে সরকারের দলীয় বাহিনীর মতো কাজ করছে। তাই তাদের পক্ষে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভয়মুক্ত ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ভোটাররাও তাদের ওপর আস্থাশীল হতে পারবেন না। বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে হলে সেনা মোতায়েন অত্যাবশ্যক।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘আমি বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে সিটি করপোরেশন এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ইভিএম বাতিল, সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না- নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আদৌও ২ সিটির নির্বাচন সুষ্ঠু চায় কিনা তা নিয়ে যথেস্ট সন্দেহ ঘণীভূত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের অনেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্যে সরকারি ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা যায়। নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি না করে, সরকারি ফর্মূলায় নির্বাচন করতেই ইসি আগাম মন্তব্য দিলেন কিনা সে প্রশ্নটি এখন ক্রমাগত সমপ্রাসারিত হচ্ছে।’
বর্তমানে দুই সিটিতে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু নেই দাবি করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দুই সিটিতে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও সন্ত্রাসীদের হাতে হাতে বৈধ অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। বৈধ অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দুই সিটিতে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল করছে, মিটিং করছে, সমাবেশ করছে বীরদর্পে। অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সভা-সমাবেশ দূরের কথা বাড়িতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারছে না। বিএনপি নেতাকর্মীদের জীবন কাটছে হয় জেল খানায় না হয় আদালতের বারান্দায় বারান্দায়।’
তিনি বলেন, বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৩০ এর উর্ধ্বে শতাধিক রাজনৈতিক মামলা। সারাক্ষণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তাড়া করছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার গতকাল বলেছেন, সব দল না এলে নির্বাচন ভাল হয় না। তাহলে সিইসির প্রধান দায়িত্ব যেকোনো নির্বাচনে সব দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা। এটা তারই প্রধান দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে সরকার যদি সিইসির প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার মতো আচরণ করতে চায় তাহলে তিনি নিজ নীতিতে অটল থেকে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে সাহসী দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। প্রয়োজনে সরকারের অন্যায়ের চাপের প্রতিবাদে পদত্যাগ করবেন তাতে দেশের জনগন এবং আর্ন্তজাতিক সমপ্রাদায় আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, আতাউর রহমান ঢালী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply