গাংনী বিএনপি অফিসে আওয়ামী লীগের ভাংচুর-আগুন
মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুরসহ আগুন দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাংনী পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা আহমেদ আলীর নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গাংনী পৌর কাউন্সিলর ইনসারুল হক ইনসুর ছোট ভাই বাবু সালসাদহ গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী বাবুর স্ত্রীকে নিয়ে কয়েকদিন আগে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনা নিয়ে সোমবার সন্ধ্যার দিকে বিএনপির অফিসের সামনে বিএনপি নেতার ভাই বাবুর সঙ্গে আওয়ামী লীগ কর্মী বাবুসহ কয়েকজনের হাতাহাতি হয়।
এরই জের ধরে ৭টার পরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপি অফিসে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেললে আওয়ামী লীগের হামলাকারীরা বিএনপি অফিসের ভেতর থেকে চেয়ার-টেবিল বাইরে এনে ভাঙচুর করে আবারও আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে তারা মিছিলসহ চলে যায়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কয়েক গজ দূরে গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ও ৭-৮জন কনস্টেবল দর্শক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো ভূমিকা পালন করেনি।
তবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কয়েক মিনিট আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন ওই অফিস থেকে বেড়িয়ে চলে যান।
যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করেন।
পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুল আলম দাবি করেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাংনী পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আহমেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন- বিএনপির ওই অফিস থেকে অস্ত্র নিয়ে সাধারণ জনতার ওপর হামলা করা হয়েছে। তাই আমার নেতৃত্বে বিএনপি অফিস উচ্ছেদ করা হয়েছে।