গণফোরামের কমিটি থেকে বাদ সুব্রত-সাইয়িদ-মন্টু
গণফোরামের কমিটি থেকে বাদ সুব্রত-সাইয়িদ-মন্টু
গণফোরামের কমিটি থেকে বাদ সুব্রত,সাইয়িদ-মন্টু গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি দলটির সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ অন্তত হাফডজন সিনিয়র নেতাকে।
বৃহস্পতিবার গণফোরামের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির তালিকা দেয়া হয়। এতে ওই তিনজনের নাম নেই।
৭২ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ও গণফোরাম প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া।
রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাইরে ৭০ জনকে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন— মোকাব্বির খান এমপি, আ ও ম শফিকউল্লাহ, আবদুল আজিজ, মহসিন রশীদ, এএইচএম খালেকুজ্জামান, শান্তিপদ ঘোষ, জানে আলম, সগির আনোয়ার, সুরাইয়া বেগম, সেলিম আকবর, মোশতাক আহমেদ, ড. মাহবুব হোসেন, ড. শাহজাহান, আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, ডা. মিজানুর রহমান, এনামুল হক (যুক্তরাজ্য), ফরিদা ইয়াসমীন, মুজিবুল হক, মির্জা হাসান, আইয়ুব করম আলী, হিরণ কুমার দাস মিঠু, আনসার খান, ইসমাইল, এম শফিউর রহমান খান বাচ্চু, রবিউল ইসলাম তরফদার রবিন, আবুল কালাম আজাদ, রতন ব্যানার্জি, আবুল হাসেন জীবন, হারুনুর রশিদ তালুকদার, এসএম শাফি মাহমুদ, লিংকন চৌধুরী, আমজাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
সুব্রত চৌধুরী, আবু সাইয়িদ ও মোস্তফা মহসিন মন্টুর বাদ পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. রেজা কিবরিয়া যুগান্তরকে বলেন, নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে তাদের রাখা হয়নি। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংগঠনে কার কি অবদান এসব চিন্তা করেই কমিটি দেয়া হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ, দলের ভেতরে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি এসব বিষয়ও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
সুব্রত চৌধুরীর বাদ পড়ার কারণ জানতে চাইলে রেজা কিবরিয়া বলেন, উনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। কিন্তু সংগঠন শক্তিশালী করতে এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কতটুকু অবদান রাখতে পেরেছেন?
মোস্তফা মহসীন মন্টুর বিষয়ে তিনি বলেন, আগের কমিটিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন না। তাই আহ্বায়ক কমিটিতে তার থাকা না থাকা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই।
রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দলের কাউন্সিল করব। আজকে নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। জেলা মহানগর সম্মেলনগুলো শেষ করেই আমরা কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করব।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ মার্চ কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। একই স পরবর্তী কাউন্সিল না হওয়ার পর্যন্ত দুই সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন।
আহ্বায়ক কমিটিতে কামাল হোসেন নিজেকে সভাপতি এবং বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করেন।