গণতন্ত্রের স্বার্থে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি

স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে করার সুপারিশ করেছে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে গঠিত ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’। তারা বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হওয়া জরুরি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ আয়োজিত ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও কার্যের ভারসাম্য: স্বশাসন ও সুশানের জন্য বিকেন্দ্রীকরণ’ শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনায় এ সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের মূল উদ্যোক্তা সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে টিআইবির চেয়ারম্যান এম. হাফিজ উদ্দিন খান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, ড. শওকাত আলী ও অর্থনীতিবিদ হোসেন এইচ মনসুর উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে জাতীয় সংসদ একদলীয় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা প্রয়োজন। অন্যথায় এ অবস্থা আরও খারাপ হবে।
প্রবন্ধে তোফায়েল আহমেদ সাত দফা সুপারিশমালা তুলে ধরেন। এগুলো হলো- প্রতিটি নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত কার্যক্ষমতা তাদেরকে চর্চা করতে দিতে হবে। স্থানীয় নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হতে পারে। কিন্তু দলীয় বিবেচনায় পুরস্কার, শাস্তি ও অর্থায়ন হতে পারে না। পাবর্ত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশের জেলা পরিষদগুলোকে যথা শিগগিরই সম্ভব নির্বাচিত প্রতিনিধির শাসনের আওতায় আনা এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে সরকারি দপ্তর, জনবল এবং অর্থ সম্পদ হস্তান্তরের প্রক্রিয়াকে ত্বরানিত করতে হবে।
শামসুল হুদা বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যে হলো জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রকে টেকসই করা। রাজনীতিবিদদেরই এ কাজটি করতে হবে। আমরা চাই ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। দেশের গণতন্ত্র সুসংহত ও পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রের জন্য শুধু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়।
বৈঠকে অংশ নিয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার বলেন, ক্ষমতার কোনো বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি। তবে দেশে দুর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। দুর্নীতির কারণে রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তায় মায়েরা সন্তান প্রসব করছে। অথচ স্থানীয় প্রতিনিধিরা কিছুই করতে পারছেন না।