গণতন্ত্রের জয় হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
বিরোধী দলের সহিংসতাকে উপেক্ষা করে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “বিরোধী দলের বোমাবাজি, হামলাকে উপেক্ষা করে স্বর্তঃস্ফূর্তভাবে জনগণ ভোট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। নতুন প্রজন্মকে প্রথমবারের মত ভোট দেওয়ার জন্য ও দেশের মিডিয়া কর্মীদের মিডিয়া কাভারেজের জন্য আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনসহ এর সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।”
“এই নির্বাচনে বিজয় হয়েছে গণতন্ত্রের। পরাজিত হয়েছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি, অশুভ শক্তি” যোগ করেন তিনি।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গণভবনের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমে আরো একবার বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার সুযোগ জনগণ আমাদেরকে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী দলের আন্দোলনে সারা দেশে নাশকতা হচ্ছে। কিছু ভোট কেন্দ্রে জামায়াত বিএনপি হামলা করেছে। এছাড়া নির্বাচন ভালোই হয়েছে। যেভাবে লাদেন স্টাইলে ভোট না দেওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছিল তা সফল হয়নি। এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে আমি তা বিশ্বাস করি না।”
“জামায়াত-শিবির-বিএনপি মিলে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘এক জন যেন ভোট কেন্দ্রে না যায়।’ এজন্য মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য সারাদেশের বহু স্কুল ও ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এর দায় ভার কে নিবে? যারা এসব কাজ করেছে তাদের ছাড় হবে না। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছে এতেই আমি সন্তুষ্ঠ।”
“ভোটাররা বোমাবাজির মধ্যেও সাহস করে ভোট দিয়েছেন। অশুভ শক্তিকে দূর করেছেন। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনকে সফল করার জন্য কাজ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই” যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, “সরকার গঠন করে আমার প্রথম কাজ হবে যেকোনো মূল্যে জনগণের জানমাল নিশ্চিত করা। এছাড়াও যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো সংস্কার করা হবে, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “বিরোধী দলের এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রাণ হারালো বহু মানুষ। এতেও তাদের কোনো অনুসূচনা নাই। আমি বিরোধী দলকে আহ্বান করি, এই সকল ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও হত্যা বাদ দিয়ে আলোচনায় আসুন। জামায়াতকে ছেড়ে সমঝোতায় আসুন।”
আগামীতে যুদ্ধুপারধীদের পাশাপাশি সকল প্রকার সহিংসতায় যারা জড়িত তাদেরও বিচার করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যাবে, কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবে না। আমরা ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিলাম ২০২১ সালের মধ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন আমাদের উন্নয়নের ধারা।”
পরবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পরবর্তী নির্বাচনের জন্য যেকোনো দলের সাথে আমরা আলোচনা করতে রাজী আছি।”
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকেও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।