গণতন্ত্রকে হত্যা করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে
দেশে গণতন্ত্র নেই—সন্ত্রাস ও অস্ত্রের ওপর ভর করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৯ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্রকে হত্যা করে এক দলীয় স্বৈরশাসন জাতির কাঁধে চেপে বসেছে। আর ইচ্ছে মতো বিনা ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরা ক্ষমতা দখল করেছে।
মঙ্গলবার গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনের বলরুমে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। এই সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে এক ব্যক্তির ক্ষমতা জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে একদলীয় সরকার গঠন করে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বি সকল দলকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।’
নির্বাচনে ৫ ভাগ ভোটও পড়েনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই সংসদের নেতা, উপনেতা, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার কেউ-ই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। সুতরাং এই সরকার ও সংসদ অবৈধ।’
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে এক মাসে বিরোধী জোটের ৩০০ নেতাকর্মীকে হত্যা অথবা গুম করা হয়েছে—এ কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসন ভোটের আগেই ভাগ-ভাটোয়ারা করেছে। বিএনপিকে তারা এর এক ভাগ দিতে চেয়েছিল। আমরা ভাগাভাগি চাইনি। আমরা চেয়েছি সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচিত বলে গণ্য ব্যক্তিদের দিয়ে গঠিত সরকার গণতান্ত্রিক হতে পারে না। তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রী-এমপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এটি অবৈধ সংসদ। সুতরাং এ সরকারের মুখে জনগণের কথা শোভা পায় না।’
১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, একই ধারাই ভোট ছাড়াই অবৈধ তামাশার সরকার গঠন করেছে। এরা কেউ নির্বাচিত নয়।