খুলনায় ডাকাতি : বাবা ও ব্যাংক কর্মকর্তা মেয়েকে হত্যা
খুলনা নগরীর লবনচরা থানা ইলিয়াস হোসেন (৭০) ও তার ব্যাংক কর্মকর্তা মেয়ে পারভীন সুলতানাকে (২৪) হত্যা করেছে ডাকাতরা। পারভীন সুলতানা এক্সিম ব্যাংকের খুলনা শাখার ক্যাশ অফিসার। এসময় ডাকাতরা বাসার আসবাপত্র তছনছ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বেশ কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লবনচরার মোহাম্মদ নগর সংলগ্ন বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকায় ইলিয়াস হোসেনের নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
খুলনার সহকারী পুলিশ কমিশনার জিয়া উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা সেফটি ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে।
নিহত ইলিয়াস হোসেনের ছেলে রেজাউল ইসলাম বিপ্লব জানান, ডাকাতরা তার বাবা ও বোনকে মেরে সেফটি ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রেখে যায়।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে তার বড় বোন মোবাইলে জানায় পারভিন সুলতানা এবং বাবার মোবাইল ফোন দীর্ঘক্ষন ধরে বন্ধ পাচ্ছি। তিনি দ্রুত বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। এই সময় সে বাড়ীতে এসে দেখি দরজায় তালা মারা। পরে আমি এবং আবু সাইদ নামে একজন ভিতরে প্রবেশ করি। এসময় ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র এলোমেলো এবং ব্যাংকের চেক বই ছড়ানো ছিটানো দেখতে পাই। পরে দুই সেফটিক ট্যাঙ্কে বাবা ও বোনের দেহ পড়ে থাকতে দেখি। তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বুঝতে পারি, দুইজনই মৃত। নিহতের ভাই আরও জানান, তার বোন পারভিন সুলতানার এক বছর আগে বিয়ে হয়েছে । তার স্বামীও একই ব্যাংকে ঢাকায় কর্মরত আছেন।
লবনচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশারফ হোসেন জানান, একদল সংঘবদ্ধ ডাকাত দল বৃদ্ধ ইলিয়াস হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির সদস্যরা টের পেয়ে চিৎকার করতে থাকলে তারা প্রথমে ইলিয়াস হোসেন ও পরে তার মেয়ে পারভীনকে হত্যা করে। এরপর ঘরের মালামাল ও আসবাবপত্র তছনছ করে লুটপাট চালায়। তবে ডাকাতরা কী পরিমাণ মালামাল বা অর্থ লুট করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।