খালেদা-তারেক খুনি হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকবেন

12/11/2015 7:55 pmViews: 9
খালেদা-তারেক খুনি হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকবেন

 

ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান সারাজীবন খুনি হিসেবে এ দেশের মানুষের কাছে পরিচিত থাকবেন। মানুষ হত্যা ছাড়া বিএনপি আর কিছুই জানে না। আর আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। নৌকা মানুষকে দেয়, দিতে আসে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের শুরুতে তিন মাস ধরে খালেদা জিয়া বাস, গাড়ি ও সিএনজিতে আগুন দিয়েছেন। দলীয় কার্যালয়ে বসে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তিনি বাসায় ফিরবেন না। জ্বালাও-পোড়াও শেষে নাকে খত দিয়ে তিনি কার্যালয় থেকে বের হয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর লক্ষ্যে খালেদা জিয়া ৩৪ দিন অবরোধ করেছিলেন। এই ৩৪ দিনে ১৩৫ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের দিনই ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। নির্বাচনে না যাওয়া ছিল বিএনপির ভুল। এর খেসারত তাদেরকেই দিতে হবে।

তিনি বলেন, নৌকার মানুষ কাউকে বঞ্চিত করে না, বরং দেয়। নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট পাওয়া দল সরকার গঠন করলে সমগ্র বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়। উত্তরবঙ্গ একসময় মঙ্গাপীড়িত ছিল, এখন সেই মঙ্গা নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম, অনেকে হাসাহাসি করেছিল।এখন সবাই সুফল পাচ্ছে। সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন।

সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা তার জীবন উৎসর্গ করেছেন, সারাটা জীবন কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এই বগুড়ায় কখনও একটি কখনও দু’টি আসন পেয়েছি। তবু আমরা এখানে উন্নয়নে অবহেলা করিনি।

তিনি বলেন, ৯৬-তে ক্ষমতায় এসে  আমরা বাংলাদেশে শুধু উন্নয়ন করেছি। এর আগে ২১ বছর ধরে হত্যার রাজনীতি চলেছে। মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবনযাপন করলেও তাদের খোঁজ কেউ নেয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নেপাল, ভুটান পর্যন্ত ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছি। ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী পানি চুক্তি করেছি। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করেছি। একটি বাড়ি, একটি খামার করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি।  বিএনপি এসে ওইসব ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়।

তিনি বলেন, আমরা দেশে নুতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবো। নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে তুলবো।বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবো। আগামীতে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালবো। সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপন করবো।

শেখ হাসিনা বলেন, আর রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে তারেক রহমান বিদেশে গিয়ে বসে আছেন। সেখানে গিয়ে খালেদা জিয়া দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু দেশের মানুষ শান্তিতে বিশ্বাস করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ছোট স্টেডিয়াম, বগুড়া শহর থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হবে। জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দগ্ধ রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট চালু করা হবে।

বগুড়াবাসীর দাবির মধ্যে প্রধান দুইটি দাবি ছিল ১৪০ বছরে পুরোনো বগুড়া পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা এবং বিমানবন্দর চালু করা। তবে এই দুই দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কিছুই বলেননি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গঠন ৯৬ সালে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। ইতিমধ্যে আমরা সেই সিঁড়িতে উঠে গেছি। খালেদা জিয়া যদি ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসের রাজনীতি না করেন, তবে ২০২১ সালেরই আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হবো।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে বগুড়া সেনানিবাসে ১২ ল্যান্সারকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) দেওয়ার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পতাকার মর্যাদা যেনো কখনো ক্ষুণ্ণ না হয়। পতাকা সমুন্নত রাখতে সেনা সদস্যদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Leave a Reply