খালেদাসহ ১৪ বিবাদীর বিরুদ্ধে ৮ নভেম্বর ইস্যু গঠন

ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৪ বিবাদীর বিরুদ্ধে বিচার্য বিষয় নির্ধারণের (ইস্যু গঠন) জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস আদালতে মামলার ইস্যু গঠনের দিন ধার্য ছিল। বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমানের সমনের জবাব দাখিল না করায় তার আইনজীবীরা জবাব দাখিল ও ইস্যু গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদনের মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।
২০১৫ সালের ১৬ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। সমন জারির পর তার জবাব দিতে বলেন খালেদা জিয়াকে।
এর আগে আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা (খালেদা জিয়া) এবং স্ত্রী শার্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য গত ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
সোনালী ব্যাংকের আবেদনে বলা হয়, আরাফাত রহমান কোকো এ মামলার বিবাদী। তিনি মারা যাওয়ায় খেলাপি ঋণ দেওয়ানি কর্মবিধি আইনের ২২নং আদেশের নিয়ম ৪ অনুসারে তার সম্পদের ওয়ারিশরা বিবাদীভুক্ত হবেন। তাই তার ওয়ারিশ হিসেবে মা-খালেদা জিয়া, স্ত্রী-শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে-জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে। তারেক রহমান এ মামলায় আগে থেকেই বিবাদী হওয়ায় তাকে নতুন করে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়নি।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
পরদিন ৩ অক্টোবর মামলাটি মধ্যস্থতা করার জন্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেন বিচারক। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোনো মধ্যস্থতা না হওয়ায় বিচারক মামলাটিতে ইস্যু গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ১৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক হোসনে আরা বেগম এ আদেশ দেন। এ মামলায় অপর ১৬ আসামিকেও হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির ইজারায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ মামলাটি করেছিল।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন মেজবাহ জানান, এ মামলা বাতিলে খালেদা জিয়ার একটি আবেদন হাই কোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ বিষয়ে হাই কোর্টের আদেশ সোমবার বিচারিক আদালতে দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ওই আবেদনে হাই কোর্টের জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে রোববারই রায় ঘোষণার কথা থাকলেও তার আইনজীবীদের সময়ের আবেদনে তা পিছিয়ে যায়।