‘খালি মাঠ, গোল তো হবেই’
ঢাকা : আসন্ন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালি মাঠ। খেলোয়াড় নেই। গোল তো হবেই।’ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় সভা তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ক্ষমতার লোভ আমার নেই। ছিলও না।’ তিনি বলেন, জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য নয়। কীভাবে বাংলার মানুষের উন্নয়ন করা যায় সে জন্য দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করেছেন বলে জানান তিনি। যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ফাঁসি দিলাম। আর দরদ উঠল পাকিস্তানের। এখানেই জনগণের চোখ খুলে যাওয়া উচিত। কারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের।’ বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে বিজয়ী দেখতে পছন্দ করেন না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিজয়ী জাতি হিসেবে থাকুক এটা ওনার (খালেদা জিয়া) মোটেই পছন্দ না। কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নিন্দা প্রস্তাব নিলে, আর ওনার মুখ দিয়ে ‘টুঁ’ শব্দ বের হলো না। তাহলে তাঁর বাংলাদেশে থাকার দরকার কী। পাকিস্তানে গেলেই হয়।’ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘একজন সাবেক রিটায়ার্ড (অবসরপ্রাপ্ত) সেনা কর্মকর্তা জানজুয়া মরে গেলে উনি শোকবার্তা পাঠান। এর রহস্যটা কী। এটা আমি জানি না, জানতে চাই।’ পাকিস্তানের যেসব দল নিন্দা প্রস্তাবে সমর্থন করেনি তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। কাদের মোল্লার পক্ষে বিবৃতি দেওয়ায় এ কে খান নিয়াজির ভাতিজা সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইমরান খান নিয়াজির কঠোর সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতার উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আলোচনার জন্য ডাকলেই উনি আলটিমেটাম দেন। কত আলটিমেটামই উনি দিয়ে গেলেন। আসলে আমাকে মারতে না পারায় ওনার দুঃখ। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আমাকে মারতে চেয়েছিলেন, পারেননি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি জামায়াত ছাড়া নির্বাচনে আসবেন না। জামায়াতে ইসলামীকে তো হাইকোর্ট জঙ্গি সংগঠন বলেছেন, নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছে। তারা নির্বাচনে না আসতে পারলে, আমাদের করার কী আছে। জামায়াত না আসায় খালেদা জিয়া নির্বাচন বর্জন করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘কোথা থেকে কে ঘোষণা দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শুনছি উনি (খালেদা জিয়া) মাঠে নামবেন। মাঠে মানুষ উনার কাছে জবাব চাইবে কেন তিনি পাকিস্তানে পার্লামেন্টের নিন্দা প্রস্তাবের বিষয়ে টুঁ শব্দ করলেন না। সেই জবাব দিয়ে যেন মাঠে নামা হয়।’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেন।