ক্ষমতায় থাকতে ভিনদেশের হস্তক্ষেপ চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: গণঅধিকার পরিষদ
ক্ষমতায় থাকতে ভিনদেশের হস্তক্ষেপ চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: গণঅধিকার পরিষদ
অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ভিনদেশের হস্তক্ষেপ চাওয়া স্পষ্টতই রাষ্ট্রদ্রোহিতা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ‘শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারতবর্ষের সরকারকে করতে অনুরোধ করেছি’ বলে যে মন্তব্য করছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকতে এভাবে ভিনদেশের হস্তক্ষেপ কামনা রাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের হুমকি।
এক যৌথ বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ। কিন্ত এই সরকার জনমত উপেক্ষা করে রাষ্ট্রযন্ত্রের দলীয়করণ ও ভিন্ন দেশের তোষামোদি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এভাবে জোরজবরদস্তি করে বিদেশীদের তোষামোদি করে ক্ষমতায় থাকতে চাওয়া দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি স্পষ্টতই হুমকি। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সহায়তা চাওয়া নয়, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতের সরাসরি হস্তক্ষেপ; এমনকি ১/১১-এর সেনাসমর্থিত সরকারের ‘সেইফ এক্সিট’ নিয়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’ বইয়ে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তা বর্তমান সরকারের দেশদ্রোহী চরিত্রের মুখোশ উন্মোচন করেছে।
তাই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান গণবিরোধী ও দেশদ্রোহী সরকারকে রুখে দিতে রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি গণঅধিকার পরিষদ আহ্বান জানায়।