ক্লাব কাপ হকিতে ঊষা চ্যাম্পিয়ন
ঢাকা: ইউসিবি ক্লাব কাপ হকিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গত আসরের শিরোপাধারী ঊষা ক্রীড়াচক্র। বুধবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ফাইনালে ঊষা ক্রীড়াচক্র ৩-১ গোলে ঢাকা আবাহনী লি:কে পরাজিত করে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এ নিয়ে ক্লাব কাপ হকিতে চার বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখালো ঊষা ক্রীড়াচক্র। ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে ক্লাব কাপ হকির প্রথম দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ঊষা। এছাড়া ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবও ক্লাব কাপ হকিতে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আবাহনী ২০০৩ ও ২০০৭ এই দুইবার ক্লাব কাপ হকিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।
ঢাকা আবাহনী গত আসরেও ফাইনালে ঊষার কাছে ৩-২ গোলে হেরে রানার্স আপেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো। সেবার আবাহনী ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শিরোপা জয়ে ব্যর্থ হয়। এ আসরেও ঊষার কাছে কুলিয়ে উঠতে পারেনি আবাহনী। এবার ৩-১ গোলে হেরে পরপর দুইবার ফাইনালে ওঠেও শিরোপা জয় করতে পারেনি অভিজাত পাড়ার এই ক্লাবটি।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে ঊষা ক্রীড়াচক্র। ৪ মিনিটের মাথায় কৃষ্ণ কুমারের ব্যাক পাস থেকে ফজলে হোসেন রাব্বি গোল করেন (১-০)।
গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনী। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পুস্কর ক্ষিসা মিমোর পাস থেকে বল পেয়ে হাসান যুবায়ের নিলয়ের নেয়া হিট সাইড বারে লেগে ফেরত আসে। প্রথমার্ধে কোনো দলই পেনাল্টি কর্নার পায়নি।
৪৫ মিনিটে আবারো গোল করে এগিয়ে যায় ঊষা। মাকসুদ আলম হাবুলের কাছ থেকে বল পেয়ে মাইনুল ইসলাম কৌশিকের নেয়া হিট আবাহনীর গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে আশ্রয় নেয় (২-০)।
৬৬ মিনিটে গোলমুখে ঊষার সারোয়ার হোসেনের নেয়া হিট আবাহনীর গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফেরত আসলে ফিরতি বলে ঊষার সুযোগ সন্ধানী কৃষ্ণ কুমার বল জালে ঠেলে দেন (৩-০)।
খেলার অন্তিম মুহূর্তে আবাহনীর পুস্কর ক্ষিসা মিমো একটি গোল শোধ করেন (৩-১)। এর মিনিটখানেক পরই আম্পায়ার শেষ বাঁশি বাজালে উল্লাসে ফেটে পড়ে ঊষার খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তারা।
খেলা শেষে প্রতিক্রিয়ায় ঊষার কোচ মামুন জানান, টিম স্পিরিটের কারণেই আবাহনীকে হারিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। বিশেষ করে আবাহনীর দুই উইঙ্গার পুস্কর ক্ষিসা মিমো ও হাসান যুবায়ের নিলয়কে আমার পরামর্শমতো আমার খেলোয়াড়রা আটকাতে পেরেছে বলেই আবাহনী সুবিধা করতে পারেনি।
ক্লাব কাপ হকির চ্যাম্পিয়ন দল কখনো লিগে শিরোপা জিততে পারে না, এমন প্রশ্নের জবাবে ঊষা কোচ বলেন, আমরা এবার চেষ্টা করবো লিগেও চ্যাম্পিয়ন হতে। চারজন বিদেশি খেলোয়াড় আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। এরমধ্যে একজন গোলরক্ষক, একজন রক্ষণভাগের এবং দুই জন আক্রমণভাগের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এনে দলের শক্তি বৃদ্ধি করবো আমরা।
খেলাশেষে প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া সচিব নূর মোহাম্মদ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউসিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালন মোহাম্মদ আলী ও এটিএন বাংলা লি: এর উপদেষ্টা অনুষ্ঠান নওয়াজিশ আলী খান।
এছাড়া বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ, লিগ কমিটির সম্পাদক কাজী মইনুজ্জামান ও ফেডারেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।