ক্রিকেট একটা ভালোলাগা জীবন মানে ভালোবাসা
সোমবার খুলনার সিটি ইন হোটেলে মাশরাফি মুর্তজাকে নিয়ে লেখা বই ‘মাশরাফি’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি ২০ অধিনায়ক। বইটি লিখেছেন ক্রীড়া সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। বেলা ১১টায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। মাশরাফির জীবন উপন্যাসের মতোই ঘটনাবহুল ও রোমাঞ্চকর। তাকে নিয়ে এখন বই লেখা হলেও ক্যারিয়ার শেষে মাশরাফি আত্মজীবনী লিখতে চান। বিক্রির জন্য নয়, তিনি চান তার আত্মজীবনী থেকে নতুন প্রজন্ম যেন শিক্ষা নিতে পারে। মাশরাফি বলেন, ‘আমি এমন কোনো সুপারস্টার হয়ে যাইনি যে, আত্মজীবনী লিখতে হবে। তবে আমি জীবনে যে কঠিন মুহূর্ত পার করেছি, তা পৃথিবীর অনেক বড় সুপারস্টারও করেনি। আমি চাই, বাংলাদেশের উঠতি ক্রিকেটাররা তা জানুক। তাহলে অনেক কিছু শিখতে পারবে, জানতে পারবে।’ মাশরাফির দুই হাঁটুতে সাতটি অপারেশন হয়েছে, এটা অনেকেরই জানা। একটা সময় স্ত্রী অসুস্থ হলে তাকে সময় দিতে হয়েছে। আবার ইনজুরির সঙ্গে লড়াই চলেছে সমানে। জীবনের কঠিন সময় মনে করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সতীর্থদের প্রশ্নের উত্তর দেন মাশরাফি। সংবাদিকরা তখন দর্শক।
ক্রিকেট সমর্থকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (বিসিএসএ) তাদের প্রথম প্রকাশনা হিসেবে বের করেছে ‘মাশরাফি’। প্রায় ৫০০ পৃষ্ঠার বই পাওয়া যাবে যে কোনো বইয়ের দোকানে, অনলাইন শপিংমল আজকের ডিলে, চেইন শপিংমল স্বপ্নের আউটলেটে। এছাড়া বইমেলায় ‘ঐতিহ্য’র স্টলে থাকছে বই। লেখক বইটি উৎসর্গ করেছেন ক্রীড়া সাংবাদিক আরিফুর রহমান বাবুকে।
মাশরাফিকে নিয়ে তারা যা বললেন
খালেদ মাহমুদ : ওর কাছে যখন যা চাওয়া হয়েছে ও সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছে। ওর মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব পাচ্ছি আমরা। আমি যতটুকু জানি, ও ছোটবেলা থেকেই আত্মবিশ্বাসী। আশা করি, ও আরও অনেকদিন আমাদের ক্রিকেটের সঙ্গে থাকবে। আমাদের ক্রিকেটকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে : তার সম্পর্কে বললে অনেক কথাই বলা যায়। ম্যাচের আগে ট্রাউজার তুলে ও আমাকে বলে, কোচ হাঁটুতে ব্যথা আছে। কিন্তু আমি, ওকে। কোনো সমস্যা হবে না, আমি খেলতে পারব। আমিও জানি, সে খেলতে পারবে। আশা করি, এভাবে সে আরও অনেকদিন খেলে যাবে। সে যেভাবে খেলে সত্যিই আমি তা পছন্দ করি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ : এখানে কিছু বলার সুযোগ হয়েছে। এজন্য আমি খুবই খুশি। সম্মানিতবোধ করছি। মাশরাফি ভাইয়ের জন্য যতই বলি মনে হয় কম। একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। উনি যখন প্রথম ২০০৯ সালে অধিনায়ক হলেন, আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাচ্ছি। এয়ারপোর্টে মাশরাফি ভাই আমাদের সবাইকে একটা খাম দিয়েছিলেন। অনুপ্রেরণার কথা লেখা ছিল। কার কাছে কেমন লেগেছিল লেখাটা, জানি না। আমার জন্য অনেক অুনপ্রেরণার ছিল। সেজন্য কখনও মাশরাফি ভাইকে ধন্যবাদ দেয়া হয়নি। আজ ধন্যবাদ জানাচ্ছি উনাকে।
তামিম ইকবাল : ২০১৫ বিশ্বকাপে আমি ভালো খেলছিলাম না। উনি আমাকে যেভাবে অুনপ্রেরণা দিয়েছেন, আমার সারা জীবন তা মনে থাকবে। এজন্য আমি উনাকে তখন ধন্যবাদ দিইনি। এখন দিচ্ছি আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। উনার কথা-অুনপ্রেরণা খুবই কাজে দিয়েছিল।